পেহেলগামে হামলার ঘটনায় জবাব দিতে সেনাবাহিনীকে ‘পদ্ধতি, লক্ষ্য ও সময় নির্ধারণের পূর্ণ স্বাধীনতা’ দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সামরিক প্রতিক্রিয়া দেখানোর বিষয়ে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন তিনি।
ওই দিন রাতে এনডিটিভির এক সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পেহেলগামের ঘটনার পর ভারতের সামরিক প্রতিক্রিয়ার ‘পদ্ধতি, লক্ষ্য ও সময় নির্ধারণের পূর্ণ স্বাধীনতা’ সশস্ত্র বাহিনীকে দিয়েছেন।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও প্রতিরক্ষা প্রধান জেনারেল অনিল চৌহানের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাতের সময় বার্তাটি দেওয়া হয়।
সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ‘পুনরায় নিশ্চিত করেছেন যে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত আঘাত হানা আমাদের জাতীয় সংকল্প’ এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রতি তার ‘পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা’ রয়েছে।
বৈঠকের কিছুক্ষণ পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও ক্ষমতাসীন বিজেপির আদর্শিক পরামর্শদাতা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রধান মোহন ভাগবত প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে পৌঁছেছেন।
সূত্র ব্যাখ্যা করেছে, প্রধানমন্ত্রীর বার্তায় ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুলওয়ামা হামলার পর সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনায় ২৬ জনকে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক, হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের সবুজ সংকেত দেওয়া হয়েছে।
এরপর ভারত পাকিস্তানের বালাকোটে সন্ত্রাসী শিবিরগুলোতে নির্ভুল বিমান হামলা চালায়। শিবিরগুলো নিষিদ্ধ গোষ্ঠী জইশ-ই-মোহাম্মদ দ্বারা পরিচালিত হতো বলে দাবি ভারতের।
ছয় বছর পর পেহেলগামের এ হামলার সঙ্গে নিষিদ্ধ পাকিস্তান-ভিত্তিক গোষ্ঠী লস্কর-ই-তৈয়বা যুক্ত বলে দাবি ভারতের। তবে ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ দায় স্বীকার করেছে বলে দেশটির সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হলেও পরে গোষ্ঠীটি জানিয়েছে তারা এ হামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। বরং ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনীর ওপর দোষ চাপিয়েছে গোষ্ঠীটি।
আপনার মতামত লিখুন :