পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন মৃত্যুর পর থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
এরই মধ্যে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন, পাকিস্তানে হয়ত ভারত হামলা চালাতে পারে। তবে ভারত যদি হামলা চালায় তাহলে প্রয়োজনে পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে পাল্টা হামলা চালানো হবে।
দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এমন হুমকির পর থেকেই পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে।
পাকিস্তান অস্ত্রগুলো ব্যবহার করে তাহলে কী হবে এ নিয়েও চলছে নানা আলাপ-আলোচনা। এছাড়া দেশটির পারমাণবিক অস্ত্র কোথায় রাখা আছে এ যেন এখন আলোনার মূল বিষয় হয়েছে।
২০২৩ সালে ‘ফেডারেশন অব আমেরিকান সায়েন্সেস’ পাক পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে এক প্রতিবেদনে বলেছিল, পাকিস্তানের এই অস্ত্রগুলো (সম্ভাব্য) কোথায় রাখা আছে।
তারা আরও বলেছিল, পাকিস্তান বছরে নতুন করে ১৪ থেকে ২৭টি পারমাণবিক অস্ত্র নিজেদের ভাণ্ডারে যুক্ত করার কাজ করছে। ২০২৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানের কাছে ১৭০টি পারমাণবিক অস্ত্র ছিল। অন্যদিকে একই সময়ে ভারতের কাছে ছিল ১৮০টি অস্ত্র।
সংস্থাটি জানিয়েছিল, পাকিস্তান এসব পারমাণবিক অস্ত্র বহনের জন্য তাদের মিরেজ-টু এবং মিরেজ-থ্রি যুদ্ধবিমানের ওপর নির্ভরশীল। আর এই বিমানগুলো দুটি ঘাঁটিতে থাকে। ধারণা করা হয়, এ দুটি ঘাঁটিতে কিছু অস্ত্র মজুদ করা আছে। এর মধ্যে একটি হলো মাশরুর বিমান ঘাঁটি, যা করাচির কাছে অবস্থিত।