আইওয়ার ডেস মইনসে এক উৎসবমুখর নির্বাচনি সমাবেশে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হাস্যরসের ছলে বলেন, তিনি নাকি পরবর্তী পোপ হওয়ার কথা ভাবতে পারেন।
মঙ্গলবার (যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময়) সন্ধ্যায় বিশ্ব নেতাদের এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে দিশাহীন বলে মন্তব্য করার সময় ট্রাম্প বলেন, ভ্যাটিকানে অনেক সমস্যা চলছে।
এরপর হঠাৎ করেই তিনি বলেন, ‘হয়তো আমিও পোপ হওয়ার জন্য টুপি ছুঁড়ে দেব। কেন নয়? তাদের এমন একজন দরকার যে সত্যিকার অর্থে নেতৃত্ব দিতে পারে।’
এ মন্তব্যে সমাবেশস্থলে হাসির রোল পড়ে যায়, দর্শকরা উল্লাস করে ট্রাম্পের স্বভাবসুলভ আত্মবিশ্বাসে।
এরপর ট্রাম্প বলেন, ‘আমি হবো প্রথম পোপ যার রিয়েল এস্টেটের অভিজ্ঞতা আছে- ভ্যাটিকানটা দারুণভাবে সাজিয়ে ফেলতাম, বিশ্বাস করুন।’
এ রসিক মন্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কেউ কেউ মজা পেলেও, সমালোচকরাও পিছিয়ে থাকেননি।
কেউ একে ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি অসম্মান হিসেবে দেখছেন, আবার কেউ বলছেন, একজন অমুসলিম, তাও আবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের এ ধরনের মন্তব্য একেবারেই অপ্রাসঙ্গিক।
ভ্যাটিকান এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ট্রাম্প বরাবরই চমকপ্রদ এবং বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য পরিচিত। তার এই ‘পোপ হওয়ার রসিকতা’ আসলে একটি বৃহত্তর বক্তব্যের অংশ, যেখানে তিনি তথাকথিত ‘গ্লোবাল এলিট’ এবং ‘ব্যর্থ প্রতিষ্ঠানগুলোর’ সমালোচনা করছিলেন।
এ বিষয়ে নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির রাজনৈতিক যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ড. ক্যারেন মোরালেস বলেন, ‘এটি কৌতুকের আড়ালে তার রাজনৈতিক বার্তা পৌঁছে দেওয়ার কৌশল। ট্রাম্প এখানে বোঝাতে চাচ্ছেন, এমন কোনো প্রতিষ্ঠান নেই, যতই পবিত্র হোক না কেন, যেখানে তার সংস্কারমূলক ‘নেতৃত্ব’ লাগবে না।’
২০২৪ সালের রিপাবলিকান প্রাইমারি যত এগোচ্ছে, ট্রাম্প ততই এগিয়ে রয়েছেন, যদিও প্রতিদ্বন্দ্বীদের সংখ্যা বাড়ছে এবং তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা চলছে। তবুও মিডিয়া নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে তার দক্ষতা আগের মতোই কার্যকর।