ঢাকা বুধবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৫

পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানের ভয়ে পালাল ভারতের ৪ রাফাল যুদ্ধবিমান

বিশ্ব ডেস্ক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৩০, ২০২৫, ০৫:৪২ পিএম
প্রতীকী ছবি

সম্প্রতি ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কার্যত চরমে পৌঁছেছে।

এ উত্তেজনা সামরিক সংঘাতে রূপ নেওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।

দেশ দুটির মধ্যে চলমান উত্তেজনা কাশ্মীরের আকাশেও ছড়িয়ে পড়েছে।

ভারতীয় বিমানবাহিনীর ৪টি রাফাল যুদ্ধবিমান কাশ্মীর অঞ্চলে টহল দেওয়ার সময় পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান দেখে পালিয়ে গেছে।

পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডন বুধবার (৩০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম পিটিভি নিউজ দাবি করেছে, ভারতীয় যুদ্ধবিমান রাফাল কাশ্মীর অঞ্চলে টহল দিতে গিয়ে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর (পিএএফ) ধাওয়ায় পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।

পিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতীয় বিমানবাহিনীর চারটি রাফাল যুদ্ধবিমান কাশ্মীরের ওপর দিয়ে উড়ছিল। যদিও ওই বিমানগুলো নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলওসি) অতিক্রম করেনি।

এর মধ্যেই পাকিস্তান সরকার জানিয়েছে, আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ভারত পাকিস্তানে হামলা করতে পারে বলে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। 

পাকিস্তানি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, পাকিস্তান বিমানবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে ভারতীয় বিমানগুলো শনাক্ত করে। তাদের প্রস্তুত প্রতিরক্ষার কারণে ভারতীয় বিমানগুলো একপর্যায়ে সেখান থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়।

এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার সাংবাদিকদের জানান, ‘বিশ্বস্ত গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে যে, পরবর্তী ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ভারত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাতে পারে।’

এদিকে, ভারতের যেকোনো আগ্রাসনের পূর্ণ শক্তি দিয়ে জবাব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেসের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।

এ ছাড়া ভারত যদি সত্যিই পাকিস্তানে সামরিক অভিযান শুরু করে, সে ক্ষেত্রে নিজেদের অস্তিত্ব ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে ভারতের বিরুদ্ধে পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করবে পাকিস্তান।

দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহম্মদ আসিফ গত সোমবার এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন।

দুই দেশের মধ্যকার ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে গভীর উদ্বেগে ফেলেছে। শান্তিপূর্ণ সমাধানের আহ্বান জানাচ্ছে জাতিসংঘ ও অন্যান্য প্রধান শক্তিধর দেশগুলো।