ঢাকা: মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের কর্মকাণ্ড ও প্রতিশ্রুতির প্রভাব শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, বরং বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। এবারের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প তাদের প্রচারণায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
কমলা হ্যারিস প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শ্রমজীবী পরিবারের জন্য খাদ্য ও বাসস্থানের খরচ কমানোর। তিনি বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং বছরে চার লাখ ডলারের বেশি আয় করা ব্যক্তিদের ওপর কর বাড়াতে চান। এছাড়া, আমদানি পণ্যের ওপর উচ্চ কর আরোপের পরিকল্পনা রয়েছে তার। অন্যদিকে, ট্রাম্প মূল্যস্ফীতি কমানোর, জ্বালানির দাম নিয়ন্ত্রণের এবং সুদের হার কমানোর অঙ্গীকার করেছেন।
অভিবাসন নীতি নিয়ে ট্রাম্প বলেছেন, অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠালে আবাসনের চাপ কমবে। কমলা হ্যারিস এই বিষয়ে মানবপাচারকারীদের বিরুদ্ধে তার আগের লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করেছেন।
গর্ভপাতের অধিকারকে প্রচারণার কেন্দ্রে রেখেছেন কমলা। আর ট্রাম্পের শাসনামলে সুপ্রিম কোর্ট গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার বাতিল করায় এই বিষয়ে তার সমর্থন কিছুটা সমালোচনার মুখে পড়েছে।
পররাষ্ট্রনীতিতে কমলা ইউক্রেনকে সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অন্যদিকে, ট্রাম্প বিশ্বের সংঘাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে রাখতে চান। তিনি রাশিয়ার সাথে সমঝোতার মাধ্যমে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসানের কথা বলেছেন এবং ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক হলেও গাজা সংকট সমাধান নিয়ে কিছু বলেননি।
পরিবেশ রক্ষায় কমলা হ্যারিস পরিবেশবাদীদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন। তবে ট্রাম্প তার আগের শাসনামলে পরিবেশ সুরক্ষার অনেক উদ্যোগ প্রত্যাহার করেছিলেন এবং পুনর্নির্বাচিত হলে জ্বালানি উৎপাদনের জন্য উত্তর মেরুতে খনন বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন।
এমন নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুই প্রার্থী তাদের অবস্থান তুলে ধরছেন, যা শুধু মার্কিন ভোটারদের জন্য নয় বরং সারা বিশ্বের জন্যও গুরুত্ব বহন করে।
আপনার মতামত লিখুন :