বাংলাদেশে সরকার পরিবর্তন হলে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কেও প্রভাব পড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদি।
শনিবার (৯ মার্চ) নয়া দিল্লিতে ইন্ডিয়া টুডে কনক্লেভে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বর্তমান সম্পর্ক নিয়ে জেনারেল দ্বিবেদি বলেন, ‘এখনই কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া তাড়াহুড়ো হবে। তবে বর্তমান সরকারের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো রয়েছে। সেনা-সেনা সম্পর্কও শক্তিশালী, যা তথ্য বিনিময়ের মাধ্যমে ভুল বোঝাবুঝি দূর করতে সাহায্য করছে। কিন্তু ভবিষ্যতে সরকার পরিবর্তন হলে এই সম্পর্ক কীভাবে রূপ নেবে, তা এখনই বলা মুশকিল।’
জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদি আরও বলেন, ‘পাকিস্তান ও চীনের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সামরিক ও কৌশলগত সহযোগিতা একটি বাস্তবতা, এবং ভারতকে দুই ফ্রন্ট থেকে আসা হুমকির জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে।’
দ্বিবেদির মতে, পাকিস্তান ও চীন পরস্পরের মধ্যে উচ্চ স্তরের সামরিক ও কৌশলগত সহযোগিতা বজায় রেখেছে, যা ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যদি সন্ত্রাসবাদের মূল কেন্দ্র কোনো নির্দিষ্ট দেশে থাকে এবং সেই দেশের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক থাকে, তাহলে আমাদের চিন্তিত হওয়া স্বাভাবিক। কারণ, সেই দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা আমাদের অন্যতম প্রধান উদ্বেগ।’
সহাবস্থান, সহযোগিতা ও সমন্বয়ের আহ্বান জানিয়ে ভারতীয় সেনাপ্রধান বলেন, যুদ্ধ এই অঞ্চলের কোনো দেশের জন্যই ভালো নয়। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধ কি দুই দেশের স্বার্থে ভালো? উত্তর হলো- না। তাই আমাদের কূটনৈতিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হবে এবং ভবিষ্যতের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’
ভারতীয় সেনাপ্রধানের এই মন্তব্য নিয়ে ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ও ভারতীয় কূটনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ভারত কী ধরনের নীতি গ্রহণ করবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিবর্তন হলে ভারতের সঙ্গে সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক কীভাবে রূপ নেবে, তা আগামী দিনগুলোতে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠবে।
সূত্র. এনডিটিভি
আপনার মতামত লিখুন :