মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পাঠানো আলোচনার প্রস্তাব সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ার করে বলেন, ‘ওরা শুধু আলোচনার নামে শর্ত চাপাতে চায়, যা ইরান কখনোই মেনে নেবে না।’
গত শুক্রবার (৮ মার্চ) ফক্স বিজনেস নেটওয়ার্কে এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি খামেনিকে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেন- ‘আশা করি আপনি আলোচনায় বসবেন, কারণ এটি ইরানের জন্য ভালো হবে। তেহরান যদি আলোচনায় রাজি না হয়, তবে বিষয়টিতে সরাসরি হস্তক্ষেপ করতে বাধ্য হবে যুক্তরাষ্ট্র।’
ট্রাম্পের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় তেহরান জানান, তারা মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে কোনো চিঠি পায়নি।
শনিবার (৯ মার্চ) তেহরানে এক ভাষণে আয়াতুল্লাহ খামেনি যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশ্যে বলেন- ‘তারা কৌশল পরিবর্তন করলেও, তাদের উদ্দেশ্য এক- ইরানের ওপর আধিপত্য বিস্তার করা।’
এছাড়া তিনি আরও বলেন, ‘তারা শুধু পরমাণু ইস্যুই নয়, বরং ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কেও শর্ত চাপিয়ে দিতে চায়। তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসলে ইরানের কোনো লাভ হবে না, ইতিহাসই তার প্রমাণ।’
তিনি আরও বলেন, ‘ যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার নামে ইরানের ওপর নিজেদের শর্ত চাপাতে চায়, যা কখনোই বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হবে না।’
ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্র সর্বোচ্চ চাপ কৌশল পুনরায় চালু করেছে। এর অংশ হিসেবে শুক্রবার (৮ মার্চ) ইরানের তেল রপ্তানির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যদিও ওয়াশিংটন বলছে, তেহরানের অর্থনৈতিক সংকট বাড়ানোই তাদের লক্ষ্য।
এদিকে, জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসি সতর্ক করেছেন, ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম সীমিত করতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সময় দ্রুত শেষ হয়ে আসছে।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়ন প্রতিহত করতে কঠোর অবস্থান নিতে পারে। এতে করে মধ্যপ্রাচ্যে আরও বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
তেহরান এখনো তার অবস্থানে অনড়। আলোচনার পরিবর্তে সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোই তাদের মূল লক্ষ্য বলে জানিয়েছে ইরানি কর্তৃপক্ষ।
আপনার মতামত লিখুন :