সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫

ইউএসএআইড’র কার্যক্রম বন্ধের নেপথ্যে ট্রাম্প প্রশাসন

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ১১, ২০২৫, ০৮:৩১ এএম

ইউএসএআইড’র কার্যক্রম বন্ধের নেপথ্যে ট্রাম্প প্রশাসন

ছবিঃ সংগৃহীত

 মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও সোমবার ঘোষণা করেছেন যে, ট্রাম্প প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের ছয় দশকের পুরনো আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএইড-এর কর্মসূচিগুলো পর্যালোচনা করে ৮৩% বন্ধ করে দিয়েছে। বাকি ১৮% কর্মসূচি এখন পররাষ্ট্র দফতরের অধীনে পরিচালিত হবে।  

এই ঘোষণার কিছু ঘণ্টা পর, যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল বিচারক আমির এইচ. আলি রায় দিয়েছেন যে, ট্রাম্প প্রশাসন তার ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করেছে। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেসের অনুমোদিত বিলিয়ন ডলারের তহবিল আটকে রাখা অবৈধ। তবে তিনি প্রশাসনকে বন্ধ হয়ে যাওয়া হাজার হাজার প্রকল্প পুনরায় চালুর নির্দেশ দেননি।’

কেন বন্ধ করা হলো ইউএসএআইড-এর কর্মসূচি?  

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি এক নির্বাহী আদেশে বিদেশি সহায়তা (foreign aid) স্থগিত করার নির্দেশ দেন। তার মতে, এসব সহায়তার বেশিরভাগই অপ্রয়োজনীয় খরচ এবং উদারনৈতিক (liberal) এজেন্ডাকে এগিয়ে নেয়।  

রুবিও এক্স (পূর্বের টুইটার)-এ পোস্টে জানান, ইউএসএইড-এর ৬,২০০ প্রকল্পের মধ্যে ৫,২০০ প্রকল্প বন্ধ করা হয়েছে। তার মতে, এসব প্রকল্প বিলিয়ন ডলার খরচ করেও যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করেনি, বরং কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতিও করেছে।  

পররাষ্ট্র দফতর ও কংগ্রেসের সঙ্গে সমন্বয় করে ১৮% অবশিষ্ট প্রকল্প নতুনভাবে পরিচালিত হবে।

ডেমোক্র্যাটিক পার্টির আইনপ্রণেতারা বলেন, ‘কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের সিদ্ধান্ত অবৈধ। বিচারক আলি স্পষ্টভাবে বলেন, বিদেশি সহায়তা খরচের ক্ষমতা প্রেসিডেন্টের নয়, বরং কংগ্রেসের। কিছু অধিকার সংস্থা এবং ব্যবসায়ী গোষ্ঠী চাইছে, বন্ধ হওয়া প্রকল্পগুলো পুনরায় চালু করা হোক। তবে আদালত এ বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তকেই চূড়ান্ত বলে উল্লেখ করেছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহায়তা ব্যাপকভাবে কমে যাবে এ সিদ্ধান্তের ফলে। যেসব দেশ ইউএসএইড-এর সাহায্যে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও দারিদ্র্য বিমোচনের সুবিধা পেত, তারা বিপদে পড়তে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

ট্রাম্প প্রশাসন মনে করছে, এই পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করবে। তবে সমালোচকরা একে একপাক্ষিক ও দায়িত্বজ্ঞানহীন সিদ্ধান্ত হিসেবে দেখছেন।  

এই পরিবর্তন যুক্তরাষ্ট্রের বৈদেশিক নীতিতে এক ঐতিহাসিক পরিবর্তন আনছে, যা আগামী দিনে বিশ্ব রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্র: এপি

আরবি/এসএস

Link copied!