মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতপূর্ণ দেশ ইয়েমেনে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ হামলায় কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও অনেকে।
হুথি যোদ্ধাদের লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছে। মূলত গাজা নিয়ে ইসরায়েলকে হুমকি দেওয়ার পরই যুক্তরাষ্ট্র হুথিদের অবস্থানের ওপর আক্রমণ চালায়।
ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলা শুরু হওয়ার পর হতাহতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। প্রথমে নিহতের সংখ্যা ১৯ বলা হলেও, হুথিদের সহযোগী সংবাদমাধ্যম আল মাসিরাহ টিভি থেকে জানা যায়, শহরে নিহতের সংখ্যা ছয় থেকে বেড়ে ১০-এ দাঁড়িয়েছে। তাদের মধ্যে চারজন শিশু ও একজন নারী রয়েছেন। হামলায় অন্তত ১৩ জন আহত হয়েছেন।
এ ছাড়া রাজধানী সানায় আরও ১৩ জন নিহত হয়েছেন। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, মোট নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২৩ জন হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি ইসরায়েলও ইয়েমেনের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়েছে। সাদা শহরে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিদ্যুৎকেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা হওয়ায় সেখানে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন, যদি লোহিত সাগরের জাহাজগুলোতে কোনো হামলা হয়, তবে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।
গাজা উপত্যকার ওপর ইসরায়েলের অবরোধ তৃতীয় সপ্তাহে গড়িয়েছে, যার পরিপ্রেক্ষিতে হুথিরা লোহিত সাগরে ইসরায়েলের সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোর ওপর পুনরায় হামলার হুমকি দেয়। এর জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে সামরিক হামলা চালায়।
সূত্র: আলজাজিরা
আপনার মতামত লিখুন :