সোমবার, ৩১ মার্চ, ২০২৫

গাজায় প্রতি ৪৫ মিনিটে একটি শিশুর মৃত্যু

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: মার্চ ২৬, ২০২৫, ০৯:৪৭ পিএম

গাজায় প্রতি ৪৫ মিনিটে একটি শিশুর মৃত্যু

ছবিটি আল জাজিরার ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় গাজায় প্রতি ৪৫ মিনিটে একটি শিশুর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। অর্থাৎ গত ৫৩৫ দিনে, প্রতিদিন গড়ে ৩০ জন শিশু নিহত হয়েছে।

আল জাজিরার তথ্যমতে, ইসরায়েলি বাহিনী এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১৭,৪০০ শিশুকে হত্যা করেছে, যার মধ্যে ১৫,৬০০ জনের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়া আরও অনেক শিশু রয়েছে, যাদের বেশিরভাগই মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গাজার শিশুরা শুধু শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি, তারা দীর্ঘ যুদ্ধের ট্রমা নিয়ে ইসরায়েলি নিপীড়নের ছায়ায় তাদের জীবন অতিবাহিত করছে। সেখানে প্রায় ২৩ লাখ বাসিন্দার মধ্যে অর্ধেকই শিশু। গত ১৭ মাসে ইসরায়েলি হামলায় তাদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে, স্কুলগুলো নষ্ট হয়ে গেছে, এবং স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাও ভেঙে পড়েছে।

এ বিষয়ে আল জাজিরার একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ১০০ শিশুর একটি কক্ষে প্রায় ২ জন নিহত হয়েছে, ২ জন নিখোঁজ (যাদের অধিকাংশই মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে), ৩ জন আহত হয়েছে, এবং অনেকেই গুরুতরভাবে আহত। ৫ জন শিশু এতিম হয়ে গেছে, এবং ৫ জন পুষ্টির অভাবে ভুগছে এখনো।

গাজার শিশুদের বিরুদ্ধে এই আক্রমণের কারণ কী? তারা ছিল গাজার ফুল, তাদের জীবনও হতে পারতো শৈশবের আনন্দে পূর্ণ। কিন্তু ইসরায়েলি বাহিনী তাদের প্রাণ ঝড়িয়ে দিচ্ছে, তাদের জীবনের অকাল মৃত্যু ঘটাচ্ছে।

ইসরায়েলি হামলায় মারা যাওয়া ৮২৫ জন শিশু, যারা এখনও তাদের প্রথম জন্মদিন উদযাপন করতে পারেনি। এছাড়া ৮৯৫ জন এক বছর বয়সী শিশু, যারা এখনও ভালোভাবে হাঁটতে শেখেনি, ৩,২৬৬ জন শিশু দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সী, (যারা প্রি-স্কুলে পড়া অবস্থায় মারা গেছে)।

এছাড়া ৪,০৩২ জন শিশু ছয় থেকে দশ বছর বয়সে নিহত হয়েছে, ৩,৬৪৬ জন শিশু ১১ থেকে ১৪ বছর বয়সে মারা গেছে, এবং ২,৯৪৯ জন শিশু ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সে নিহত হয়েছে।

এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে ওঠে গত ১৮ মার্চ, যখন দুই মাস ধরে চলা যুদ্ধবিরতি ভেঙে ইসরায়েলি বাহিনী গাজার উপর একযোগে ১০০টি হামলা চালায়।

এই হামলার পরবর্তী ৩৬ ঘণ্টায় ৭০০ জন নিহত হয়, যার মধ্যে প্রায় ২০০ জন শিশু ছিলো, বাকি ৫০০ জন নিহত হয় নারী, পুরুষ, বৃদ্ধাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। 
 


নিউজ সূত্র: আল জাজিরা

আরবি/জেডি

Link copied!