রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সরকারি গাড়িবহরের একটি গাড়িতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাটি মস্কোর লুবিয়াঙ্কায়, রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি’র সদর দপ্তরের কাছে ঘটেছে বলে জানা গেছে। তবে বিস্ফোরণের সময় গাড়িটিতে কেউ ছিল না, ফলে হতাহতের কোনো খবর নিশ্চিত হয়নি।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান এবং ইউরোউইকলি জানিয়েছে, শনিবার (২৯ মার্চ) এই রহস্যজনক বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরিত হওয়া গাড়িটি ছিল একটি বিলাসবহুল লিমুজিন, যা রুশ প্রেসিডেন্টের জন্য বরাদ্দ ছিল। এতে জল্পনা শুরু হয়েছে- পুতিনকে হত্যার উদ্দেশ্যেই কি এই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল?
বিস্ফোরণের ভিডিও ও প্রতিক্রিয়া
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে দেখা গেছে, বিস্ফোরণের পর স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন এবং আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। প্রাথমিক তদন্তে বলা হচ্ছে, গাড়ির ইঞ্জিন থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে, যা পরে ফুয়েল ট্যাংকে বিস্ফোরণ ঘটায়।
তবে অনেকেই মনে করছেন, এটি নিছক দুর্ঘটনা নয়, বরং পুতিনকে হত্যার পরিকল্পনার অংশ হতে পারে। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের পর এই জল্পনা আরও বেড়েছে।
সম্প্রতি এক ভাষণে জেলেনস্কি বলেন, ‘পুতিনের আয়ু বেশি দিন নেই। খুব শিগগিরই তিনি মারা যাবেন। আর এটা সত্য। যুদ্ধও শেষ হবে।’
জেলেনস্কির এই মন্তব্যের পর থেকেই পুতিনের শারীরিক অবস্থা ও সম্ভাব্য হত্যাচেষ্টার বিষয়টি আলোচনায় আসে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও শান্তি আলোচনা
এই ঘটনার মধ্যেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে ৩০ দিনের যুদ্ধবিরতির একটি আলোচনা চলছে, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে এই যুদ্ধবিরতির মধ্যেও উভয় পক্ষের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলা অব্যাহত রয়েছে।
বিস্ফোরণটি কোনো ষড়যন্ত্রের অংশ নাকি নিছক দুর্ঘটনা, তা এখনও পরিষ্কার নয়। রুশ কর্তৃপক্ষ এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি দেয়নি, তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস
আপনার মতামত লিখুন :