সৌদি আরবে ঈদুল ফিতর উদযাপন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মূলত চাঁদ দেখা নিয়ে এই বিতর্ক সৃষ্টি হয়। অনেক জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞ রোববার ঈদ উদযাপনের বিষয়টি খারিজ করে দিয়েছেন। তারা বলছেন, শনিবার চাঁদ দেখা সম্ভব ছিল না।
খালিজ টাইমস ও গালফ নিউজের প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা সৌদি জনগণের পক্ষ থেকে ‘কাফফারা’ দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের দাবি, সৌদি আরব চাঁদ দেখার সময় ভুল ঘোষণা করেছে এবং ঈদ একদিন আগে ঘোষণা করেছে।
তবে সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গত রোববার কিছু আরব দেশ ঈদ ঘোষণা করলেও অন্যরা ঈদ উদযাপন করেছে সোমবার। মিশর, জর্ডান, সিরিয়া ও অন্যান্য সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ সৌদি আরবের ঘোষণা অনুসরণ না করে সোমবার ঈদ পালন করেছে। শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ ইরান ও ওমানের ইবাদি ধর্মীয় কর্তৃপক্ষও সোমবার ঈদ উদযাপন করেছে।
তবে জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞরা রোববার ঈদ উদযাপনের বিষয়টি খারিজ করে দিয়েছেন, কারণ শনিবার চাঁদ দেখা সম্ভব ছিল না।
আবুধাবিভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, পূর্ব গোলার্ধে শনিবার চাঁদ দেখা সম্ভব ছিল না।
সৌদি জ্যোতির্বিজ্ঞানী বাদের আল-ওমাইরা গালফ নিউজকে বলেন, ‘শনিবারের সূর্যগ্রহণের পর চাঁদ দেখা সম্ভব নয়।’
নিউ ক্রিসেন্ট সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা ইমাদ আহমেদ বলেছিলেন, ইসলামি মাসগুলো চাঁদের নতুন পর্যায় থেকে শুরু হয় না, বরং তা অর্ধচন্দ্রের পর্যায় থেকে শুরু হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে; কারণ অনেকের বিশ্বাস, এতে কোটি কোটি মুসলিম একদিন আগে রোজা ছেড়ে দিয়েছেন।
২০১১ সালে সৌদি চাঁদ দেখা কর্তৃপক্ষ শনি গ্রহকে চাঁদ ভেবে ভুল করেছিল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। ২০১৯ সালেও এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল বলে জানা গেছে। তবে সৌদি কর্তৃপক্ষ দুবারই এসব প্রতিবেদনই অস্বীকার করেছে।
চাঁদ দেখা, ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইসলামি বিষয়গুলো মাঝে মাঝে বিতর্ক এবং বিভিন্ন ব্যাখ্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। কিছু দেশ জ্যোতির্বিজ্ঞানের হিসাব-নিকাশ এবং টেলিস্কোপের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করে। অন্যরা চাঁদ দেখতে খালি চোখ ব্যবহার করে।
-20250419032959.webp "যুক্তরাষ্ট্র-চীনের শুল্ক দ্বন্দ্ব অবসানের ইঙ্গিত ট্রাম্পের")
-20250419070719.webp)
-20250419061548.webp)
-20250413063348-20250419060125.webp)
আপনার মতামত লিখুন :