বিখ্যাত ড্রামা সিরিজ ‘মানি হাইস্ট’ দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে ব্যাংক লুট- এর মতো অবাক কান্ড ঘটেছে ভারতে। ভারতের নিয়ামতির দাভানাগেরে জেলার একটি ব্যাংক ডাকাতির পাঁচ মাস পর পুলিশের তদন্তে উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, প্রধান অভিযুক্ত তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের বাসিন্দা বিজয় কুমার ‘মানি হাইস্ট’ ক্রাইম ড্রামাটি ১৫ বার দেখেছিলেন। পাশাপাশি, তিনি বেশ কয়েকটি ব্যাংক ডাকাতির ডকুমেন্টারি ও ইউটিউব ভিডিও দেখেছিলেন।
এরপরই তিনি এবং তার সহযোগীরা স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (এসবিআই) একটি শাখায় ডাকাতির পরিকল্পনা করেন এবং সেখান থেকে ১৭.৭ কেজি সোনা লুট করেন।
প্রথমবারের মতো অপরাধে জড়িত ছয়জন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে মোট ১৭ কেজি সোনা উদ্ধার করা হয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী, টিভি সিরিজ এবং ভিডিওগুলো মনোযোগ দিয়ে দেখার পর, সন্দেহভাজনরা নিয়ামতি ও আশপাশের শিবমোগা এলাকা থেকে হাতের গ্লাভস, গ্যাস কাটার ও মরিচ গুঁড়ো কিনে ব্যাংকের চারপাশে নজরদারি শুরু করে।
প্রায় ছয় মাস ধরে তারা দিনে ও রাতে ব্যাংকের অবস্থান পর্যবেক্ষণ করেছে। বিশেষ করে সপ্তাহান্তে বা সরকারি ছুটির দিনে, যখন ব্যাংকটি বন্ধ থাকত। সন্দেহভাজনরা কেউই মোবাইল ফোন ব্যবহার করেনি, যাতে পুলিশ কোনো সূত্র না পায়।
২০২৪ সালের ২৬ অক্টোবর রাতে ব্যাংকটি ডাকাতির পর, তারা লুট করা সোনা ৩ কিলোমিটার দূরে পার্ক করা একটি রেনল্ট ডাস্টার গাড়িতে নিয়ে যায়।
দাভানাগেরে পূর্বাঞ্চলের আইজিপি রভিকান্ত গৌডা বলেন, ‘তারা ডাকাতির পর কোনো চিহ্ন রেখে যায়নি, তাই মামলাটি দ্রুত সমাধান করা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল।
সন্দেহভাজনরা ঘটনাস্থলে মরিচ গুঁড়ো ছড়িয়ে দিয়েছিল, ফলে পুলিশের কুকুর কিছু দূর যাওয়ার পর গন্ধের সূত্র হারিয়ে ফেলে।’
বিজয় এর আগে এসবিআই নিয়ামতি শাখায় তার বেকারি ব্যবসার জন্য পিএমই স্কিমের আওতায় ১৫ লাখ টাকা ঋণের আবেদন করেছিলেন এবং তার ভাইয়ের নামে আরেকটি আবেদন জমা দেন।
তবে কম সিবিল স্কোরের কারণে উভয় আবেদনই প্রত্যাখ্যাত হয়। আইজিপি বলেন, ‘বিজয় হতাশ হয়ে পড়েছিলেন, আর ঋণ প্রত্যাখ্যাত হওয়াই ব্যাংক ডাকাতির প্রধান কারণ ছিল।’
আপনার মতামত লিখুন :