শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের বিরুদ্ধে রোনাল্ড রিগানের ভিডিও শেয়ার চীনের

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২৫, ১২:৩৬ পিএম

যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের বিরুদ্ধে রোনাল্ড রিগানের ভিডিও শেয়ার চীনের

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান। ছবিঃ সংগৃহিত

চীন সম্প্রতি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত পাল্টা শুল্কের প্রতি তাদের বিরোধিতা জানাতে ১৯৮৭ সালের রোনাল্ড রিগানের একটি ভিডিও শেয়ার করেছে। ভিডিওতে, প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিগান শুল্কের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে কথা বলেছেন, যা ট্রাম্পের বর্তমান শুল্ক নীতি নিয়ে চীনের উদ্বেগের প্রতিফলন।

১৯৮৭ সালের ভিডিওতে রিগান বলছেন, বিদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা প্রথম দিকে দেশপ্রেমিকতার মতো মনে হতে পারে এবং কিছু সময়ের জন্য কার্যকর হতে পারে, তবে এটি অবশ্যম্ভাবীভাবে বিদেশি দেশগুলোর প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের দিকে নিয়ে যায় এবং একসময় তীব্র বাণিজ্য যুদ্ধের দিকে চলে যায়। তিনি আরও বলেন, এই প্রক্রিয়া ব্যবসা ও শিল্পে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং বাজার সংকুচিত হয়ে পড়ে, যার ফলে চাকরি হারানোর মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়।

চীনের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত দূতাবাস ভিডিওটি সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ শেয়ার করে এবং ক্যাপশন দেয়, ‘রোনাল্ড রিগান বনাম #শুল্ক: ১৯৮৭ সালের বক্তৃতা ২০২৫ সালে নতুন গুরুত্ব পেয়েছে।’

১৯৮৭ সালে শুল্ক নিয়ে রোনাল্ড রিগান 

ভিডিওতে রিগান বলেন, ‘বিদেশি পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করা কিছু সময়ের জন্য কার্যকর হতে পারে, তবে শেষ পর্যন্ত স্থানীয় শিল্পগুলো সরকারের সুরক্ষায় নির্ভরশীল হয়ে পড়ে এবং তারা প্রতিযোগিতা করতে বন্ধ করে দেয়। এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে যায় যখন বিদেশি দেশগুলোর প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের কারণে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়। এর ফলস্বরূপ শুল্ক বাড়ে, বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয় এবং প্রতিযোগিতার অভাব ঘটে।’

রিগান আরও বলেন, ‘শুল্ক দ্বারা কৃত্রিমভাবে মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মানুষ কেনাকাটা বন্ধ করে দেয়, যার ফলে বাজার সংকুচিত হয়ে যায়, ব্যবসা এবং শিল্প বন্ধ হয়ে যায়, এবং লাখ লাখ মানুষ চাকরি হারায়।’

মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ

চীন বর্তমানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শুল্ক বৃদ্ধির প্রতি তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছে। ২ এপ্রিল, ট্রাম্প ৩৪ ভাগ শুল্ক বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছিলেন, এবং চীনও পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে কিছু মার্কিন পণ্যের ওপর ৩৪ ভাগ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। এরপর, ট্রাম্প চীনকে ৮ এপ্রিলের মধ্যে শুল্ক প্রত্যাহারের হুমকি দিয়েছেন, না হলে তিনি অতিরিক্ত ৫০ ভাগ শুল্ক আরোপ করবেন।

চীন এর বিরুদ্ধে একটি বিবৃতিতে ট্রাম্পের পদক্ষেপকে একতরফা সিদ্ধান্ত, সুরক্ষা নীতি এবং অর্থনৈতিক চাঁদাবাজি বলে বর্ণনা করেছে এবং জানিয়েছে যে, তারা তাদের সার্বভৌমত্ব এবং নিরাপত্তা রক্ষায় দৃঢ় পদক্ষেপ নেবে। চীন আরও জানিয়েছে যে, চাপ সৃষ্টি করা এবং হুমকি দেয়া পরিস্থিতির সঠিক সমাধান নয় এবং তাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক অবশ্যই পারস্পরিক সুবিধামূলক এবং জয়-জয় ভিত্তিতে হওয়া উচিত।

চীনের এই পদক্ষেপ মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধের উত্তপ্ত পরিবেশে আরও একটি নতুন দিক নির্দেশ করে। রিগানের ১৯৮৭ সালের ভাষণের ভিডিওটি শেয়ার করে চীন যুক্তরাষ্ট্রকে মনে করিয়ে দিতে চায় যে, শুল্ক এবং বাণিজ্য যুদ্ধ কেবল বিশ্ববাজারে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং এর ফলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। চীন তাদের অবস্থান দৃঢ় করছে যে, একপেশে চাপ সৃষ্টি করা বাণিজ্যিক সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

আরবি/এসএস

Link copied!