শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৫, ০৮:৪৮ এএম

গাজায় জিম্মিরা নিখোঁজ

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৬, ২০২৫, ০৮:৪৮ এএম

গাজায় জিম্মিরা নিখোঁজ

হামাসের সঙ্গে নতুন করে যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরায়েলের সর্বশেষ প্রস্তাবে মুক্তি পাওয়া জিম্মিদের একজন ছিলেন এডান আলেকজান্ডার। ছবি: সংগৃহীত

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলার পর ইসরায়েলি-মার্কিন সেনা ইদান আলেক্সান্ডারকে আটক করে রাখা যোদ্ধা দলের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে হামাস। ২১ বছর বয়সি এই সেনাকে সম্প্রতি হামাসের প্রকাশিত একাধিক ভিডিওতে জীবিত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল।

হামাসের মুখপাত্র আবু ওবাইদা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা ঘোষণা করছি যে, সেনা ইদান আলেক্সান্ডারকে আটক করে রাখা দলটির অবস্থানে সরাসরি বিমান হামলার পর তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হারিয়ে ফেলেছি। বর্তমানে আমরা তাদের খোঁজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

ইসরায়েল গত সপ্তাহে একটি ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছিল, যার প্রথম দিনেই আলেক্সান্ডারকে মুক্তি দেয়ার শর্ত ছিল। হামাস ওই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। হামাস এখনো জানায়নি ঠিক কবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে এবং তারা এখন পর্যন্ত তাদের দাবির কোনো প্রমাণ প্রকাশ করেনি।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বরাবরই দাবি করে যে, তারা সচেতনভাবে এমন স্থানে আঘাত হানে না যেখানে জিম্মিরা থাকতে পারে।

গত বছর ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ১২০০ ইসরায়েলি নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করা হয়। তাদের মধ্যে এখনো ৫৯ জন গাজায় আটক আছে বলে ধারণা করা হয়, যাদের মধ্যে মাত্র ২৪ জন জীবিত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

এই ৫৯ জনের মধ্যে ৫ জন মার্কিন নাগরিক বলে জানা গেছে। তাদের মধ্যে ইদান আলেক্সান্ডারই সম্ভবত একমাত্র জীবিত ছিলেন।

শনিবার (১২ এপ্রিল) হামাস আলেক্সান্ডারের আরেকটি ভিডিও প্রকাশ করে, যেখানে তাকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে মুক্তির জন্য আবেদন করতে দেখা যায়।

হামাস জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অনুযায়ী প্রথম সপ্তাহে অর্ধেক জিম্মিকে মুক্তি দেয়ার কথা ছিল, আর প্রথম দিনেই আলেক্সান্ডারকে ‘সদিচ্ছার নিদর্শন’ হিসেবে মুক্তি দেয়ার কথা ছিল।

চলতি বছরের শুরুতে দুই মাসের একটি যুদ্ধবিরতিতে হামাস ৩৩ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয়, যার বিনিময়ে ১,৯০০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পায় এবং গাজায় ত্রাণ ও পণ্য প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়।

পরবর্তীতে দ্বিতীয় ধাপের আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় ইসরায়েল ১৮ মার্চ থেকে আবার সামরিক অভিযান শুরু করে। হামাস এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, তারা যুদ্ধ পুরোপুরি শেষ এবং ইসরায়েলের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার ছাড়া জিম্মিদের মুক্তি দেবে না।

ইসরায়েলের প্রস্তাবটি মিশরের মাধ্যমে হামাসের কাছে পৌঁছায়। প্রস্তাবে হামাসকে নিরস্ত্র করার কথা বলা হলেও যুদ্ধ থামানো বা গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহারের কোনো প্রতিশ্রুতি ছিল না। এই কারণে হামাস পুরো প্রস্তাবটি প্রত্যাখ্যান করে।

হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১৮ মাসের যুদ্ধে এখন পর্যন্ত গাজায় মোট ৫১,০০০ জন নিহত হয়েছে। শুধু গত মার্চের পর ইসরায়েলের নতুন অভিযানেই প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১,৬৩০ জন।

ইদান আলেক্সান্ডার তেল আবিবে জন্মগ্রহণ করলেও নিউ জার্সিতে বড় হয়েছেন। তিনি গাজার সীমান্তে ইসরায়েলের একটি বিশেষ সেনাদলে দায়িত্ব পালনকালে ৭ অক্টোবর হামলার সময় হামাসের হাতে বন্দি হন।

তার বাবা আদি আলেক্সান্ডার সম্প্রতি এক মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রশ্ন তোলেন, ‘এই যুদ্ধ শেষ না করে কিংবা দ্বিতীয় ধাপের চুক্তিতে প্রতিশ্রুতি না দিয়ে আপনি কীভাবে জিম্মিদের মুক্ত করবেন?’

আরবি/এসএস

Link copied!