ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে ফিলিপাইনে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে স্থানীয় সময় বুধবার (১৬ এপ্রিল) ভূমিকম্পটি আঘাত হানে।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৬। তবে, ভূমিকম্পটি থেকে প্রাথমিকভাবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এএফপিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, মিন্দানাও দ্বীপের উপকূলে আঘাত হানা ভূমিকম্পটির গভীরতা ছিল ৩০ কিলোমিটার (১৮ দশমিক ৬ মাইল)।
ফিলিপাইন ইনস্টিটিউট অব ভলকানোলজি অ্যান্ড সিসমোলজি জানিয়েছে, মাইতুম শহর থেকে প্রায় ৪৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ভূমিকম্পটির উৎপত্তি হয়।
মাইতুমের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের কর্মকর্তা গিলবার্ট রোলিফোর বলেন, ভূমিকম্পটি বেশ শক্তিশালী ছিল কিন্তু বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে ফিলিপাইনে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে বেশকিছু বাড়িঘর এবং ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ ছাড়া গত বছরের আগস্টে ফিলিপাইনের মিন্দানাও দ্বীপে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে। এর উৎপত্তিস্থল ছিল বার্কেলোনা গ্রামে, ভূপৃষ্ঠ থেকে ২০ কিলোমিটার গভীরে।
সে সময় বার্কেলোনার পার্শ্ববর্তী শহর লিঙিগের পৌরসভার কর্মকর্তা ইয়ান অনসিং জানিয়েছিলেন, ভূমিকম্পটি বেশ শক্তিশালী ছিল এবং এটি প্রায় ১০-১৫ সেকেন্ড স্থায়ী হয়েছিল।
তবে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে বিভিন্ন দেশে যে মাত্রার ক্ষয়ক্ষতি হয়, সেই তুলনায় বার্কেলোনা ও তার আশপাশে ক্ষয়ক্ষতি অনেক কম হয়েছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইন সক্রিয় প্যাসিফিক ‘রিং অব ফায়ারে’ অবস্থিত হওয়ার কারণে দেশটিতে প্রায়ই ভূমিকম্প আঘাত হানে।
উল্লেখ্য, রিং অব ফায়ার হচ্ছে তীব্র ভূমিকম্প ও আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাতপ্রবণ একটি অঞ্চল যা জাপান থেকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অববাহিকাজুড়ে বিস্তৃত।
আপনার মতামত লিখুন :