যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে চলমান শুল্ক দ্বন্দ্বের শিগগিরই সমাধান হতে পারে এবং টিকটকের ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি সম্ভাব্য চুক্তিও আসন্ন।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প জানান, চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রতিনিধিত্বকারী কিছু কর্মকর্তা আলোচনার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি জানান, চীনের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা নিয়ে তিনি এখন কিছুটা অনিচ্ছুক, কারণ এটি দুই অর্থনৈতিক পরাশক্তির মধ্যে একটি বাণিজ্য চুক্তির পথে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
ট্রাম্প আরও জানান, তিনি এমনকি শুল্ক কমাতেও রাজি হতে পারেন। তার ভাষায়, ‘একটা সময় আসে যখন আপনি চাচ্ছেন না শুল্ক আরও বাড়াতে, কারণ তখন মানুষ কেনাকাটা বন্ধ করে দিবে। তাই আমি হয়তো চাইব না শুল্ক আরও বাড়াতে, এমনকি হয়তো এতটা বাড়াতেও চাইব না। আমি কমাতে চাইতে পারি, কারণ আমি তো চান মানুষ পণ্য কিনুক।’
ট্রাম্প উল্লেখ করেন, প্রেসিডেন্ট শির সঙ্গে তাঁর সুসম্পর্ক রয়েছে এবং তিনি চান এই সম্পর্ক অটুট থাকুক।
তিনি বলেন, ‘আমার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট শির খুবই ভালো সম্পর্ক আছে, এবং আমি মনে করি এটি অব্যাহত থাকবে। আমি বলতে পারি, তারা আমাদের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেছে।’
চীনভিত্তিক কোম্পানি বাইটড্যান্সের জন্য নির্ধারিত আইনি সময়সীমা একাধিকবার বাড়ানোর পর ট্রাম্প জানান, টিকটকের মালিকানা নিয়ে একটি চুক্তি প্রায় সম্পন্ন, তবে তা আপাতত চীনের অবস্থানের ওপর নির্ভর করবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের টিকটক নিয়ে একটা চুক্তি আছে, তবে সেটি চীনের ওপর নির্ভর করবে, তাই আমরা আপাতত চুক্তিটি পিছিয়ে দিচ্ছি যতক্ষণ না পুরো বিষয়টা পরিষ্কার হয়।’
তিনি পূর্বেও বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের শুল্ক দ্বন্দ্বের কারণে এর আগেও টিকটক বিক্রির প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়েছে।
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি এটি চীনের জন্য ভালো একটি চুক্তি। টিকটক চীনের জন্য ভালো, এবং আমি মনে করি তারা চাইবে আমরা এই চুক্তি করি, বিশেষ করে এমন একটি চুক্তি যেখানে বিশ্বের কিছু সেরা কোম্পানির অংশগ্রহণ রয়েছে।’
টিকটকের মালিকানা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ মূলত জাতীয় নিরাপত্তা ঘিরে। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে যে, এই চীনা অ্যাপ ব্যবহারকারীদের তথ্য সংগ্রহ করে এবং তা চীনা সরকারের হাতে যেতে পারে।
এই কারণে ট্রাম্প প্রশাসন টিকটকের মালিকানা বিক্রি বা যুক্তরাষ্ট্রে নিষিদ্ধ করার হুমকি দিয়ে আসছিল। এ ছাড়াও, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে বহু বছর ধরে শুল্ক নিয়ে টানাপোড়েন চলছিল, যার ফলে বৈশ্বিক অর্থনীতিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :