মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েছেন হাজারও মানুষ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাম্প্রতিক নীতি ও অভিবাসনবিরোধী পদক্ষেপের প্রতিবাদে শনিবার (১৯ এপ্রিল) দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যেই একযোগে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিবিসির খবরে বলা হয়, এই ঐতিহাসিক আন্দোলনের নাম ছিল ৫০৫০১। ৫০টি রাজ্যে ৫০টি প্রতিবাদ, একক লক্ষ্য।
স্বাধীনতার আদর্শে ফিরতে আহ্বান
এই বিক্ষোভ কর্মসূচির সময় আমেরিকার স্বাধীনতাযুদ্ধ শুরুর ২৫০তম বার্ষিকীর প্রসঙ্গ সামনে এনে বিক্ষোভকারীরা ‘নো কিংস’ লেখা পোস্টার বহন করেন- যা ব্রিটিশ রাজতন্ত্রবিরোধী আদর্শের স্মারক। এটি ছিল একটি স্পষ্ট বার্তা: যুক্তরাষ্ট্র রাজতন্ত্র নয়, গণতন্ত্রের পথেই হাঁটবে।
অভিবাসন ইস্যু এবং এল সালভাদরের গার্সিয়া
এ বিক্ষোভের কেন্দ্রে ছিল ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসননীতি। বিশেষভাবে উঠে আসে কিলমার আবরেগো গার্সিয়া নামের এক এল সালভাদরবাসী যুবকের নাম, যাকে ‘ভুলক্রমে’ নির্বাসিত করা হয়েছে বলে দাবি আন্দোলনকারীদের।
তারা গার্সিয়াকে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরিয়ে আনার জন্য ট্রাম্প প্রশাসনের অনাগ্রহের তীব্র সমালোচনা করেন।
জনপ্রিয়তায় ধস
সাম্প্রতিক গ্যালাপ জরিপ অনুযায়ী, ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা ৪৫ শতাংশে নেমে এসেছে, যা জানুয়ারিতে ছিল ৪৭ শতাংশ।
তুলনামূলকভাবে, ১৯৫২ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো প্রেসিডেন্টের প্রথম কোয়ার্টারের গড় জনপ্রিয়তা ছিল ৬০ শতাংশ। বিশ্লেষকদের মতে, অভিবাসন, অর্থনীতি ও প্রশাসনিক কার্যকারিতা ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্ক এই পতনের অন্যতম কারণ।
‘ডিওজিই’ ও ক্ষোভের বিস্তার
বিক্ষোভকারীরা ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই) নামক নতুন একটি প্রকল্পের বিরুদ্ধেও কথা বলেন। ট্রাম্প প্রশাসন ব্যয় কমানো ও সরকারি কর্মসংস্থান ছাঁটাইয়ের উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প চালু করেছে, যা অনেকের কাছে স্বচ্ছতা ও জনসেবার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে।
যদিও অধিকাংশ বিক্ষোভ শান্তিপূর্ণ ছিল, কিছু এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। একপর্যায়ে ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসম্যান সুহাস সুব্রামানিয়াম এক ট্রাম্প সমর্থকের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে জড়িয়ে পড়েন, যার ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়।
আপনার মতামত লিখুন :