ইসরায়েলি দৈনিক ইয়েদিয়োথ আহরোনোথের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ সম্প্রসারণের জন্য ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও ১০ বিলিয়ন শেকেল (প্রায় ২.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) অতিরিক্ত বাজেটের প্রয়োজন বলে জানিয়েছে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, যুদ্ধবিরতির পর এক মাসেরও বেশি সময় আগে আবার গাজায় যুদ্ধ শুরু হয় এবং তা বৃহৎ আকারে স্থল অভিযানের মাধ্যমে সম্প্রসারিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এতে বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় হচ্ছে।
২০২৪ সালে ইতোমধ্যে ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান পরিচালনায় ২৫০ বিলিয়ন শেকেল (প্রায় ৬৭.৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ব্যয় করেছে বলে অর্থনৈতিক পত্রিকা ‘কালকালিস্ট’ জানিয়েছে।
তবে এই অতিরিক্ত ব্যয় প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছে ইসরায়েলের অর্থ মন্ত্রণালয়। এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইয়েদিয়োথ আহরোনোথকে বলেন, ‘এরই মধ্যে ৩১ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে- যার মধ্যে ২.৬ বিলিয়ন ডলারের সংরক্ষিত তহবিলও রয়েছে- এর পরও আরও ২.৬ বিলিয়ন ডলার চাওয়াটা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।’
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই অর্থ গাজার প্রায় ৪০ শতাংশ এলাকা দখল করতে এবং গাজার সীমান্তবর্তী ইসরায়েলি বসতিগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করতে ব্যবহৃত হবে, যাতে হামাস বা অন্য কোনো গোষ্ঠী ইসরায়েলে আবার রকেট হামলা চালাতে না পারে।
ইসরায়েল ১৮ মার্চ থেকে গাজায় পুনরায় হামলা শুরু করে, যা জানুয়ারি মাসে স্বাক্ষরিত যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তিকে লঙ্ঘন করে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫১ হাজার দুই শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়াওভ গালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
এছাড়া গাজায় ইসরায়েলি অভিযানের কারণে ইসরায়েল বর্তমানে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর পক্ষ থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা অব্যাহত রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :