বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৫, ০৩:১০ পিএম

‘নৈতিক অবস্থান নয়, কূটনৈতিক চাল’: ইসলামাবাদকে দিল্লি

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৩, ২০২৫, ০৩:১০ পিএম

‘নৈতিক অবস্থান নয়, কূটনৈতিক চাল’: ইসলামাবাদকে দিল্লি

পাকিস্তানের কথা বিশ্বাস করছে না ভারত।। ছবি: সংগৃহীত

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পর্যটনকেন্দ্র পাহিলগামে সাম্প্রতিক ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে আবারও উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে দুই প্রতিবেশী দেশের সম্পর্ক। হামলার ঘটনায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা অস্বীকার করা হলেও ভারতের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে- তাদের নিরাপত্তা বিশ্লেষণে সেই দাবি বিশ্বাসযোগ্য নয়।

ঘটনার একদিন পর ইসলামাবাদের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ একটি টেলিভিশন আলোচনায় বলেন, ‘আমাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা সবধরনের সন্ত্রাসকে ঘৃণা করি।’ তবে এই বিবৃতিকে ‘নৈতিক অবস্থান নয়, কূটনৈতিক চাল’ হিসেবে বিবেচনা করছে দিল্লি।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনায় জানা গেছে, ছদ্মবেশে আসা চারজন সন্ত্রাসী হঠাৎ করেই পর্যটকদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, হামলাকারীদের অন্তত দুজন ছিল বিদেশি, যারা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই নৃশংস হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৫ জন পর্যটক এবং একজন স্থানীয় বাসিন্দা। 

গুরুতর আহত হয়েছেন আরও অনেকে। অনেকেই মনে করছেন, ২৬ নভেম্বরে মুম্বাইয়ে সংঘটিত নারকীয় হামলার পর এটি ভারতের মাটিতে সাধারণ মানুষের ওপর সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা।

জঙ্গি সংগঠনের দায় স্বীকার

নিষিদ্ধ ঘোষিত চরমপন্থি সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বার সহযোগী গোষ্ঠী ‘প্রতিরোধ ফ্রন্ট’ (টিআরএফ) ইতোমধ্যেই হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে দাবি করেছে একাধিক ভারতীয় গণমাধ্যম।

ভারতের নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর মতে, সীমান্তপারের মদদ না থাকলে এত বড় আকারের হামলা সম্ভব নয়। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে সদিচ্ছা থাকলে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়া সম্ভব হতো না।

পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া

পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আনন্তনাগের এই হামলায় দুঃখ প্রকাশ করেছে এবং নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছে। তবে দিল্লির মতে, এটি নিছক একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি, যা আন্তর্জাতিক মহলে নিজেদের ভাবমূর্তি রক্ষার কৌশলমাত্র।

তদন্ত অব্যাহত

ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী ঘটনাটির বিস্তারিত তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ, মোবাইল যোগাযোগ, এবং সীমান্ত নজরদারির তথ্য বিশ্লেষণ করে দ্রুতই একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন প্রকাশের সম্ভাবনা রয়েছে।

বিশ্লেষকদের মতে, হামলার সময়টি ছিল অত্যন্ত স্পর্শকাতর। কারণ, এর মাত্র এক সপ্তাহ আগেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আসিম মুনির কাশ্মীরকে ‘জীবনরেখা’ আখ্যা দেন, যা ভারতীয় কূটনৈতিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!