রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪, ০১:২৫ পিএম

ক্যানসারের সঙ্গে সম্পর্ক

মানুষের মস্তিষ্কে বাড়ছে প্লাস্টিক কণার উপস্থিতি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৪, ২০২৪, ০১:২৫ পিএম

মানুষের মস্তিষ্কে বাড়ছে প্লাস্টিক কণার উপস্থিতি

ছবি, সংগৃহীত

ঢাকা: মানুষের মস্তিষ্কে অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিকের কণার উপস্থিতি বাড়ছে । গবেষণা প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যমতে, কয়েকজন মানুষের শরীর ময়নাতদন্তের সময় সংগ্রহ করা মস্তিষ্কের টিস্যু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এ চিত্র পাওয়া যায়। যেখানে দেখাযায়, আট বছর আগে মস্তিষ্কে যে পরিমাণ অতিক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা ছিল। বর্তমানে তার পরিমাণ অনেকটা বেশি।

অনলাইনে প্রকাশিত গবেষণার একটি প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। গবেষণা প্রতিবেদনটি এখনো পিআর-রিভিউ এবং তা কোনো সাময়িকীতে প্রকাশ করা হয়নি। প্রতিবেদনটির মূল লেখক ম্যাথিউ ক্যাম্পেন। তিনি যুক্তরাস্ট্রের নিউ মেক্সিকো বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেসের একজন অধ্যাপক।

ম্যাথিউ ক্যাম্পেন তথ্য দেন, ৪৫ থেকে ৫০ বছর বয়সী স্বাভাবিক মানুষের মস্তিষ্কের প্রতি গ্রাম টিস্যুতে আমরা ৪ হাজার ৮০০ মাইক্রোগ্রাম (১ গ্রাম সমান ১০ লাখ মাইক্রোগ্রাম) প্লাস্টিক কণা পেয়েছি। এটি মস্তিষ্কের মোট ওজনের শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১৬ সালে মস্তিষ্কে যে পরিমাণ প্লাস্টিক পাওয়া গিয়েছিল, ২০২৪ সালে তা প্রায় ৫০ শতাংশ বেড়েছে। এর অর্থ আজকের দিনে আমাদের মস্তিষ্ক ৯৯ দশমিক ৫ শতাংশ, বাকিটা প্লাস্টিক।’

প্লাস্টিক আমাদের মস্তিষ্কের কতটুকু ক্ষতিসাধন করতে পারে, সে সম্পর্কে গবেষণা প্রতিবেদনে কিছু উল্লেখ করা হয়নি বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সি অঙ্গরাজ্যের রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ফোয়েবে স্ট্যাপলেটন। এই গবেষণা প্রতিবেদনের সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই তাঁর।

ফোয়েবে স্ট্যাপলেটন বলেন, প্লাস্টিক কণা তরল কি না এবং সেগুলো মস্তিষ্কে যাচ্ছে আবার সেখান থেকে বেরিয়ে আসছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। এগুলো স্নায়বিক টিস্যুতে পাওয়া যাচ্ছে কি না বা তা রোগের কারণ হচ্ছে কি না, তা–ও এই গবেষণায় স্পষ্ট করা হয়নি। কীভাবে মস্তিষ্কের কোষের সঙ্গে এসব কণার মিথস্ক্রিয়া ঘটে এবং এগুলো বিষক্রিয়া ঘটায় কি না, তা বুঝতে আরও গবেষণার প্রয়োজন।

গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, ময়নাতদন্ত করা যেসব মানুষের শরীর থেকে টিস্যু সংগ্রহ করা হয়েছে, তাঁদের কিডনি ও যকৃতের চেয়ে মস্তিষ্কে ৭ থেকে ৩০ গুণ বেশি প্লাস্টিক কণা পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বোস্টন কলেজের অধ্যাপক ফিলিপ ল্যানড্রিগান বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, মানুষের হৃৎপিণ্ড, ধমনি, ফুসফুস, যকৃৎসহ বিভিন্ন অঙ্গে ক্ষুদ্র প্লাস্টিক কণা পাওয়া যাচ্ছে। ২০২৪ সালে এসে কেউই প্লাস্টিক এড়িয়ে চলতে পারেন না। যেমন প্লাস্টিক নেই, এমন মুঠোফোন বা কম্পিউটার পাওয়া যাবে না। তবে কিছু ক্ষেত্রে এর সংস্পর্শে আসা কমানো যেতে পারে, যেমন প্লাস্টিকের ব্যাগ ও বোতল।

যেভাবে শরীরে প্রবেশ করে প্লাস্টিক
এই গবেষণার জন্য ২০১৬ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ময়নাতদন্ত করা ৯২ জনের মস্তিষ্ক, কিডনি ও যকৃতের টিস্যু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন গবেষকেরা। অধ্যাপক ম্যাথিউ ক্যাম্পেন বলেন, ‘টিস্যুগুলো পর্যবেক্ষণের ভিত্তিতে আমরা মনে করছি, আমাদের মস্তিষ্কে খুবই ক্ষুদ্রাকৃতির প্লাস্টিক প্রবেশ করছে। এগুলোর আকৃতি ১০০ থেকে ২০০ ন্যানোমিটারের (১ ন্যানোমিটার হলো ১ মিটারের ১০০ কোটি ভাগের ১ ভাগ) মতো। আর ১ থেকে ৫ মাইক্রোমিটারের মতো বড় আকৃতির প্লাস্টিকগুলো লিভার ও কিডনিতে প্রবেশ করছে।’

ক্যানসারের সঙ্গে প্লাস্টিকের সম্পর্ক
প্লাস্টিকের ব্যাগ ও বোতল তৈরি করতে যে পলিথিন ব্যবহার করা হয়, তা পচনশীল নয়। মানুষের শরীরের টিস্যুতে এই পলিথিন পাওয়া গেছে। গবেষণা প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, কিডনি ও যকৃতের চেয়ে মস্তিষ্কে পলিথিনের উপস্থিতি বেশি দেখা গেছে। এ ছাড়া অধ্যাপক ক্যাম্পেন ও তাঁর দলের চলতি বছরের আগস্টে করা একটি গবেষণায় মানুষ ও কুকুরের অণ্ডকোষেও পলিথিন পাওয়া গেছে।

অধ্যাপক ক্যাম্পেন ও তাঁর দলের চলতি বছরের আগস্টে করা একটি গবেষণায় মানুষ ও কুকুরের অণ্ডকোষেও পলিথিন পাওয়া গেছে। পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংগঠন ডিফেন্ড আওয়ার হেলথের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পলিথিন টেরেফথালেটের (পিইটি) মতো বিভিন্ন ধরনের পলিথিন পরিবেশে ক্ষতিকর ১,৪-ডাইঅক্সেন নিঃসরণ করে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল টক্সিটি প্রোগ্রাম ও ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যানসারের ভাষ্যমতে, মানব শরীরে ক্যানসারের কারণ হতে পারে ১,৪-ডাইঅক্সেন।

আরবি/এস

Link copied!