শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ০৯:০৩ পিএম

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবার মৌমাছি মোতায়েন করলো ভারত

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৪, ০৯:০৩ পিএম

অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবার মৌমাছি মোতায়েন করলো ভারত

ছবি: সংগৃহীত

সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মৌমাছি মোতায়েন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের নদিয়ায় বাংলাদেশ সীমান্তে মৌমাছির কৃত্রিম চাক স্থাপন করেছে তারা।

সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ- ১৮ জানিয়েছে, গত সপ্তাহে বিএসএফের ১০ থেকে ১২ জওয়ান নদীয়া জেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম কাদিপুর জড়ো হন। সেখানে তাদের মৌমাছি চাষ শিখতে দেখা যায়। সেসময় তাদের মাথা ও মুখমণ্ডলে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরা ছিল।

সংবাদমাধ্যমটিতে প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সীমান্ত বেড়ায় বেশ কয়েকটি মৌ-বাক্স ঝুলিয়ে রাখা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে বাংলাদেশের ৪৬ কিলোমিটার সীমান্তের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছে বিএসএফের ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়ন। তারা এসব বাক্স ঝুলিয়ে রেখেছে।

তাদের আশা, যদি কোনো বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী বা দুই দেশের কোনো চোরাকারবারি কাঁটাতারের কাছে আসে তাহলে মৌমাছি তাদের উপর আক্রমণ করবে।

এ বিষয়ে বিএসএফের এক কর্মকর্তা জানিয়েছে, এই পদ্ধতি ব্যবহার করে সফলতা পেয়েছেন তারা। সেখানে অনুপ্রবেশ বা চোরাচালান প্রায় শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে।

৩২ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট সুজিত কুমার বলেছেন, এক বছরেরও কম সময় আগে ২০২৩ সালের নভেম্বর থেকে আমরা মৌমাছি পালন করা শুরু করি। এটি ছিল গ্রাম উন্নয়নে সরকারের একটি প্রকল্প। সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কী করা যায় সেই চিন্তা থেকে আমার মাথায় আসে মৌমাছি চাষের বাক্সগুলো কাঁটাতারের বেড়ায় রাখা যায়।

আমরা প্রায়ই দেখি কাঁটাতার কেটে বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঘটে। এছাড়া গরু চোরাচালানসহ অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় ঘটে। আমরা খুবই অবাক হয়েছি যে সীমান্তে এসব বাক্স রাখার পর সেখানে অনুপ্রবেশ এবং চোরাচালান শূন্যের কাছাকাছি চলে এসেছে।

একটি ইউনিট এই উদ্যোগে সফলতা পাওয়ার পর অন্যান্য ইউনিটও একই রকম ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন বিএসএফের এক কর্মকর্তা। আর যেসব জওয়ানকে মধুচাষ শেখানো হবে তারা অবসরের পরও জীবিকার জন্য এটি করতে পারবেন।

এদিকে, স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে সীমান্তে অপরাধের ঘটনাও কমেছে। কাদিপুর গ্রামের বাসিন্দা জ্যোতি মণ্ডল বলেন, অনেক অপরাধী সীমান্ত বেড়ার আশেপাশে অবস্থান করতো ও বিভিন্ন অপরাধ করে নিজেদের এলাকায় পালিয়ে যেতো। এখন মৌমাছি থাকার কারণে সীমান্তে ছোটখাটো অপরাধের প্রবণতা হ্রাস পেয়েছে।

সূত্র: নিউজ- ১৮

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!