ঢাকা বুধবার, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

অবশেষে ১৫০ বছর পর থামছে কলকাতার ট্রাম

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৪, ২০২৪, ০৮:৩৮ পিএম

অবশেষে ১৫০ বছর পর থামছে কলকাতার ট্রাম

অবশেষে ১৫০ বছর পর বন্ধ হওয়ার পথে কলকাতার ঐতিহ্যবাহী ট্রাম। ভারতের একমাত্র শহর হিসেবে কলকাতায় এখনো চলছে ট্রাম। তবে আগের চেয়ে অনেকাংশে কমেছে ট্রাম চলার রাস্তা, পাশাপাশি কমেছে ট্রামের সংখ‍্যাও। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ হতে পারে ‘কল্লোলিনী তিলোত্তমার’ নস্টালজিয়া ট্রাম।

তবে দীর্ঘদিন ধরে যে কথা শোনা যাচ্ছিল সেই কথায় সত্যি হতে যাচ্ছে। যাত্রী পরিষেবার সঙ্গে আর যুক্ত থাকবে না ঐতিহ্যবাহী এই ট্রাম। শহরে ট্রাম পরিষেবা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা চলছে। সেখানেই রাজ্য সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছিল। এ কারণে ট্রাম তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার।

কলকাতার রাস্তায় এখন মাত্র তিনটি রুটেই চলে ট্রাম। ধর্মতলা-শ্যামবাজার, ধর্মতলা-গড়িয়া হাট ও টালিগঞ্জ থেকে বালিগঞ্জ। তবে সেই রুটেও এবার ট্রাম চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। ট্রাম চলাচল শুধু ময়দান ও এসপ্ল্যানেডের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে বলে ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের পরিবহনমন্ত্রী স্নেহাসিস চক্রবর্তী।

সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, শহরের ট্রাম রুটগুলোর বেশিরভাগই বাতিল করা হবে। শুধু ঐতিহ্যবাহী রুটটি পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য চালু থাকবে। এছাড়া শহরের বুকে বিছিয়ে থাকা ট্রামলাইনগুলো এবার তুলে ফেলা হবে।

পরিবহনমন্ত্রী বলেন, একটি জনস্বার্থ মামলা চলছে। কোর্টও জানতে চেয়েছে আমাদের সিদ্ধান্ত। তাই কোনো রুটে ট্রাম চলবে না। লাইনও তুলে ফেলব। রাস্তা বাড়েনি। যান বেড়েছে। তাই যানজট হচ্ছে। এভাবে ট্রাম চালানো অসম্ভব।

প্রসঙ্গত, ১৮৮৩ সালে কলকাতাসহ ভারতের ১৫টি শহরে যাত্রা শুরু করে ট্রাম। তবে কালের নিয়মে গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে না পেরে অনেক পিছিয়ে পড়ছে ট্রামযাত্রা। একসময় গোটা শহরজুড়ে যাতায়াতের অন‍্যতম মাধ‍্যম ছিল এই যান। তবে বর্তমানে ট্রাম লাইনের সংখ‍্যা অনেক কমে গেছে। ২০১৫ সালে কলকাতায় ২৫টি ট্রাম রুট ছিল, কিন্তু এখন মাত্র তিনটি রুটে পরিষেবা সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে।

ট্রাম যখন চালু হয়েছিল তখন গরুর গাড়ি চলত, টানা রিকশা ছিল। এখন অত্যাধুনিক ক্যাব ও মেট্রো চালু হয়েছে। কিন্তু রাস্তা আগে যা ছিল তাই রয়েছে নতুন করে রাস্তা হয়নি। নতুন করে রাস্তা করা যায়নি। এ কারণে এবার কার্যত বন্ধ হচ্ছে ট্রাম পরিষেবা।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!