লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর শীর্ষ নেতা হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যার দাবি করেছে ইসরায়েল। এক বিবৃতিতে ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, তারা শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বড় ধরনের বিমান হামলা চালিয়ে হিজবুল্লাহর দীর্ঘদিনের নেতা হাসান নাসরাল্লাহকে হত্যা করেছে। আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
তবে ওই শীর্ষ নেতার মৃত্যুর বিষয়ে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। এদিকে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই শীর্ষ নেতার মৃত্যুর বিষয়ে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এখনও কোনো কিছু পরিষ্কারভাবে জানানো না হলেও তার সমর্থকদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।
হিজবুল্লাহর এই শীর্ষ নেতার প্রচুর সমর্থক রয়েছে। বিশেষ করে, লেবাননে শিয়া নির্বাচনী এলাকায় তার জনপ্রিয়তা অনেক। সেখানকার লোকজন তাকে বাবার মতো সম্মান করেন। তিনি সেখানে এমন একজন ধর্মীয় নেতা এবং সম্মানীয় ব্যক্তিত্ব যিনি লেবাননের লোকজনের অবস্থার উন্নতি ঘটিয়েছেন।
এর আগে ইসরায়েলি বাহিনীর এক বিমান হামলার ঘটনায় ইব্রাহিম আকিলসহ আরও বেশ কয়েকজন সিনিয়র হিজবুল্লাহ নেতা নিহত হন।
সে সময় হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে তার মৃত্যুর বিষয়টি স্বীকার করা হয়। তবে কীভাবে হিজবুল্লাহর ওই শীর্ষ নেতা নিহত হয়েছেন সে ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়নি।
এদিকে তেল আবিবে দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। এর আগে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবনে দফায় দফায় হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। রাজধানীর দক্ষিণাঞ্চলে নজিরবিহীন হামলায় হতাহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে।
লেবাননের হামলার পরই পাল্টা হামলা হিসেবে তেল আবিবের বিভিন্ন স্থানে দফায় দফায় হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লেবানন থেকে মধ্য ইসরায়েলের দিকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র খোলা জায়গায় গিয়ে পড়েছে বলে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :