ঢাকা শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪

হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা দপ্তরে ইসরাইলের ৭৩ টন বোমা হামলা

বিশ্ব ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৪, ০৮:৩৫ পিএম

হিজবুল্লাহর গোয়েন্দা দপ্তরে ইসরাইলের ৭৩ টন বোমা হামলা

ছবি: সংগৃহীত

লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সদর দপ্তরে ৭৩ টন ওজনের বোমা ফেলেছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)।

আইডিএফের মতে, এ হামলাটি ছিল ইসরাইলের একটি বিস্তৃত প্রচেষ্টার অংশ, যা হিজবুল্লাহর সামরিক সক্ষমতাকে বিপর্যস্ত করার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার রাতে সর্বশেষ এ হামলাটি চালানো হয়েছে লেবানন-সিরিয়া সীমান্ত বরাবর অবস্থিত একটি টানেল এবং সরবরাহ লাইনের ওপর।

আইডিএফ জানিয়েছে, ইসরাইলি সামরিক বিমানগুলো বৈরুতের উপকণ্ঠে হিজবুল্লাহর একটি সামরিক স্থাপনায় বোমা হামলা চালিয়েছে। যেখানে ধারণা করা হচ্ছে হিজবুল্লাহর নিহত নেতা হাসান নাসরুল্লাহর সম্ভাব্য উত্তরসূরি উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে ইসরাইলের সংবাদ মাধ্যম ইয়েনেটের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতে ইসরাইলি বিমান বাহিনী ডাহিয়েহ অঞ্চলের একটি বাঙ্কারে মোট ৭৩ টন বোমা ফেলেছে। যা হিজবুল্লাহর প্রধান গোয়েন্দা সদরদপ্তর হিসাবে চিহ্নিত। ধারণা করা হচ্ছে, হাসান নাসরুল্লাহর উত্তরসূরি হতে যাওয়া হাসেম সাফিদ্দিনসহ হিজবুল্লাহর অন্যান্য উচ্চ পদস্থ সদস্যরাও ওই কমপ্লেক্সে উপস্থিত ছিলেন।

যদিও এ হামলার ফলাফল বা ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে পরিষ্কার করে কিছুই জানায়নি সংবাদ মাধ্যমটি।

ইসরাইলি সামরিক বাহিনী সম্প্রতি লেবাননে ‘নর্থারো’ নামক একটি অভিযান পরিচালনা করছে। এ অভিযানের অংশ হিসেবে ইসরাইলি বাহিনী দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে হিজবুল্লাহর লক্ষ্যবস্তুতে ভারি হামলা চালাচ্ছে।

এর আগে, গত ২৭ সেপ্টেম্বর বৈরুতে চালানো একাধিক হামলায় হিজবুল্লাহর উচ্চ পদস্থ বেশ কয়েকজন কমান্ডার নিহত হন। যার মধ্যে হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরুল্লাহও ছিলেন। এরপর হিজবুল্লাহ পালটা হামলা চালালে গত ১ অক্টোবর থেকে দক্ষিণ লেবাননে স্থল আক্রমণ শুরু করে ইসরাইল।

লেবাননের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফিরাস আবিয়াদের উদ্ধৃত করে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমগুলো জানাচ্ছে, ইসরাইলি হামলায় ৩ অক্টোবর পর্যন্ত লেবাননে মোট মৃতের সংখ্যা ১,৯৭৪ জনে পৌঁছেছে।

ইজরাইলি সামরিক বাহিনী এখন পর্যন্ত হিজবুল্লাহ কয়েক হাজার লক্ষ্যবস্তুতে হামলার কথা জানিয়েছে। পর্যবেক্ষকরা মন্তব্য করছেন, ২০০৬ সালের দ্বিতীয় লেবানন যুদ্ধে হামলার তীব্রতা যেমন ছিল, তেমনটা আরেকবার দেখা যায়নি।

সূত্র: মেহের নিউজ এজেন্সি

আরবি/ এইচএম

Link copied!