শক্তিশালী হারিকেন মিল্টন যুক্তরাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে আছড়ে পড়েছে। সর্বপ্রথম দেশটির ফ্লোরিডার সিয়েস্তা বে এবং ফোর্ট মায়ার্সে আঘাত হানার সময় এটি ক্যাটাগরি-৩ হারিকেন হিসেবে আঘাত হানে। এর প্রভাবে দেশটির বহু এলাকার প্রায় ৩০ লাখ বাসিন্দা বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। অনেক এলাকায় ঢুকে পড়েছে পানি। ফ্লোরিডার বন্দরনগরী ফোর্ট শেয়ারে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার পর জলোচ্ছ্বাসের পানিতে প্লাবিত হয়েছে সেখানকার রাস্তাঘাট।
উপকূলে আছড়ে পড়ার সময় ঝড়টির বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারেরও বেশি ছিল। বাতাসের এমন অস্বাভাবিক গতির কারণে ওই অঞ্চলে বিদ্যুতের খুঁটি, গাছ এবং বিভিন্ন অবকাঠামো ধসে পড়ে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, হারিকেনের প্রভাবে ফ্লোরিডার টাম্পা এবং সেন্ট পিটাসবার্গে ১৮ ইঞ্চি বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই এলাকাগুলোতে একদিনে এত বৃষ্টি এক হাজার বছরেও একবার হতে দেখা যায় না। কিন্তু এবার হারিকেন মিল্টনের প্রভাবে এমন বৃষ্টিপাত হয়েছে। অপরদিকে বিশ্বখ্যাত স্বচ্ছপানির সমুদ্র সৈকতে ১৪ ইঞ্চি পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টার দিকে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানায়, হারিকেন মিল্টনের মূল কেন্দ্রটি ফ্লোরিডা উপদ্বীপ অতিক্রম করছে এবং পূর্ব উপকূল থেকে সরে যাচ্ছে।
তবে ক্যাটাগরি-১ হারিকেনের শক্তি ধরে রাখা মিল্টন এখনো উপকূলের বিভিন্ন জায়গায় ঝড়ো বাতাসসহ তাণ্ডব চালাচ্ছে। সিএনএনের আবহাওয়াবিদ ডেরেক ভেন ড্যাম জানিয়েছেন, হ্যারিকেনের প্রভাবে ফ্লোরিডার ট্রেজার উপকূলে একাধিক টর্নেডো সৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় জলোচ্ছ্বাসও দেখা দিতে পারে।
ঝড়টি এখনো পুরোপুরি অতিক্রম না করায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা সম্ভব হয়নি। তবে হারিকেনের কারণে সৃষ্ট একাধিক টর্নেডোতে অসংখ্য ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
ঝড়টির শক্তি বেশি থাকায় জরুরি পরিষেবা সংস্থার কর্মীরাও তাদের কাজ বন্ধ রাখেন। যখন এটি স্থল থেকে আবারও সমুদ্রে চলে যাবে তখন তারা তাদের কাজ শুরু করবেন।
আপনার মতামত লিখুন :