ঢাকা সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪

মমতার অনুরোধ কানে তুললেন না অনশনকারীরা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২০, ২০২৪, ০৪:২৩ পিএম

মমতার অনুরোধ কানে তুললেন না অনশনকারীরা

ছবি, সংগৃহীত

ঢাকা: কলকাতার আর-জি-কর হাসপাতালের নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার ন্যায়বিচার, সুষ্ঠু তদন্তসহ ১০ দফা দাবিতে আমরণ অনশন করছেন একদল জুনিয়র চিকিৎসক। দাবির অধিকাংশ মানা হয়েছে জানিয়ে আজ শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁদের কাজে ফিরে যেতে অনুরোধ করেছেন। কিন্তু রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমকে অপসারণ না করায় অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

পিটিআই সূত্রে জানাযায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ অনশনকারীদের সঙ্গে মুঠোফোনে কথা বলেছেন। আন্দোলনকারীদের হতাশার কথা বুঝতে পারছেন জেনে তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যসচিবকে কেন অপসারণ করিনি, তা আপনারা জানেন। কোনো বিভাগের সব কর্মকর্তাকে একসঙ্গে অপসারণ করাটা সম্ভব নয়। আমি এরই মধ্যে পুলিশ কমিশনার (সিপি), মেডিকেল এডুকেশন ডিরেক্টর (ডিএমই) ও ডিরেক্টর অব হেলথ সার্ভিসকে (ডিএইচএস) অপসারণ করেছি। দয়া করে আপনারা রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠুন এবং কাজে যোগ দিন।’

প্রশ্নের সুরে মমতা বলেন, ‘কোন কর্মকর্তাকে অপসারণ করা হবে আর হবে না, সেটা আপনারা কীভাবে নির্ধারণ করবেন? এটা কি যৌক্তিক?’

বেলা দুইটার দিকে রাজ্যের মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ ও স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী ধর্মতলার জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন মঞ্চে যান। সেখানে অনশন তুলে নিতে তাঁরা জুনিয়র চিকিৎসকদের অনুরোধ করেন। কিন্তু তাতে অনশনকারীরা কর্ণপাত করেননি।

একপর্যায়ে মুখ্য সচিব মনোজ পন্থ আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের সঙ্গে মুঠোফোনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথা বলিয়ে দেন। তখন মমতা অনশনকারীদের উল্লিখিত কথাগুলো বলেন। স্বাস্থ্যসচিবকে অপসারণের জন্য তিন থেকে চার মাস সময় চান মমতা।

অনশনকারী চিকিৎসকদের আরও একটি দাবি রাজ্যের সব মেডিকেল কলেজের ছাত্র সংসদ নির্বাচনের সময় ঘোষণা করতে হবে। এই দাবিও মানার জন্য মুখ্যমন্ত্রী তিন থেকে চার মাস সময় চেয়েছেন।

এরপর মমতা আগামী সোমবার বিকেলে রাজ্য সচিবালয় ‘নবান্নে’ চিকিৎসকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেন। মমতা বলেন, ‘আপনাদের দাবির সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। আমি সব সময় মানবিকতার পক্ষে। তাই আমি অনুরোধ করছি, আপনারা অনশন ভেঙে মানুষের সেবায় ফিরে আসুন। আমাকে সময় দিন। আমি আপনাদের সব দাবি মেনে নেওয়ার চেষ্টা করব।’

কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর এ অনুরোধে অনশনকারী চিকিৎসকেরা সরাসরি কোনো সায় দেননি।

জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন আজ ১৫ দিনে পা দিয়েছে। ৫ অক্টোবর শুরু হওয়া এই অনশনে যোগ দিয়েছেন ১৪ জুনিয়র চিকিৎসক। তাঁদের মধ্যে ছয়জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

আরবি/এস

Link copied!