জাপানে কোনো দলই পারেনি দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে। এ অবস্থায় বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটিতে সরকার গঠন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। খবর রয়টার্স
জাপানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ডায়েটে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) ও তাদের শরিক কোমেইতো মিলে পেয়েছে ২১৫টি আসন, যেখানে বিরোধীরা পেয়েছে ২৩৫টি আসন। নিম্নকক্ষের নিয়ন্ত্রণ পেতে অন্তত ২৩৩টি আসনের প্রয়োজন হয়।
এলডিপির নতুন নেতা শিগেরু ইশিবা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেয়ার আগে আগাম নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় এখন তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়েই অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
সাংবিধানিক বিধি অনুযায়ী, সরকার গঠন করতে জোট গঠনের জন্য দলগুলো ৩০ দিন সময় পাবে। নির্বাচনে ছোট দলগুলোর অর্জনও উল্লেখযোগ্য। আলোচনায় তাদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে। সোমবার (২৮ অক্টোবর) স্থানীয় সময় বেলা ২টার দিকে ইশিবার সংবাদ সম্মেলন করার কথা।
নির্বাচনের আগে এলডিপির পরিকল্পনা করেছিল, আগামী ৭ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ের জন্য পার্লামেন্টে অধিবেশন ডাকবে তারা। জাপানের স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সিডিপিজের নেতা ইয়োশিকো নোডা বলেছেন, বিদায়ীদের উৎখাত করার চেষ্টা করতে তিনি অন্য দলগুলোর সঙ্গে কাজ করবেন। যদিও বিশ্লেষকেরা বলছেন, সম্ভাবনাটি অনেক বেশি দূরবর্তী বিষয়।
আপনার মতামত লিখুন :