ঢাকা মঙ্গলবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে কঠোর মন্তব্য মোদির

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৪, ১২:৪৪ পিএম

বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী নিয়ে কঠোর মন্তব্য মোদির

ফাইল ছবি

ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডে ভোটের জন্য বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশে মদত দেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোট পাওয়ার জন্য সমগ্র ঝাড়খণ্ডে বসবাসের জায়গা করে দেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

জানা গেছে, চলতি মাসেই ভারতের এই রাজ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং ভোটকে সামনে রেখে দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী” ইস্যুতে সম্প্রতি কঠোর মন্তব্য করেছেন।

সংবাদমাধ্যম বলছে, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পরে এবার ঝাড়খণ্ডে বিধানসভা ভোটের প্রচারে গিয়ে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ নিয়ে বিরোধীদের কঠোর সমালোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সোমবার রাজ্যটির পলামু অঞ্চলের গঢ়ওয়ায় বিজেপির সভার তিনি অনুপ্রবেশ নিয়ে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস, আরজেডির জোট সরকারকে অভিযুক্ত করেছেন।

মোদি সোমবার বলেন, “তোষণের রাজনীতিকে চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা, কংগ্রেস এবং আরজেডি। এই তিনটি দলই অনুপ্রবেশকারীদের সমর্থন করে। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোট পাওয়ার জন্য তাদের গোটা ঝাড়খণ্ডে বসবাসের জায়গা করে দিচ্ছে এই তিনটি দল।”

তিনি আরও বলেন, “পরিস্থিতি এখানে এমন যে, সরস্বতী বন্দনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। এখান থেকেই বোঝা যাচ্ছে, বিপদ কতটা গুরুতর। যখন উৎসবে পাথর ছোঁড়া হয়, দুর্গামাকেও আটকে দেওয়া হয়, যখন কারফিউ জারি করা হয়, তখন বোঝা যায়— পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ। মেয়েদের সঙ্গে বিয়ের নাম করে যখন প্রতারণা হচ্ছে, তখন বুঝতে হবে পানি কতদূর গড়িয়েছে।”

মোদি সোমবার হেমন্ত সরকারকে নিশানা করে বলেন, “প্রশাসন যখন (অনুপ্রবেশের কথা) অস্বীকার করে, তখন বুঝতে হবে সরকারতন্ত্রেই অনুপ্রবেশ হয়ে গেছে”। এছাড়া ঝাড়খণ্ডের বিরোধী জোটকে ‘অনুপ্রবেশকারীদের জোট এবং মাফিয়াদের দাস’ বলেও মন্তব্য করেন মোদি।

এর আগে গত রোববার ঝাড়খণ্ডের রাজধানী রাঁচীতে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে অনুপ্রবেশ সমস্যা নিয়ে ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমালোচনা করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ থেকে সীমান্ত পেরিয়ে অনুপ্রবেশকারীদের ভারতে ঢুকে পড়া চাইলেই আটকে দিতে পারে পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ড সরকার। কিন্তু তারা তা করছে না। একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর ভোট পাওয়ার জন্য ঝাড়খণ্ড এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রশ্রয়ে অনুপ্রবেশ বেড়ে চলেছে।

সেসময় তিনি আরও বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে অনুপ্রবেশ এখনও বন্ধ হয়নি। কারণ, স্থানীয় প্রশাসনই সেখানে অনুপ্রবেশকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। ঝাড়খণ্ডেও অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি একই কারণে। স্থানীয় প্রশাসন প্রশ্রয় দিচ্ছে। বিএসএফ তো সব জায়গায় আছে। আসামেও আছে, পশ্চিমবঙ্গ এবং ঝাড়খণ্ডেও আছে।”

এর আগে ঝাড়খণ্ডে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের উল্টো করে ঝুলিয়ে সোজা করা হবে বলে গত সেপ্টেম্বরে হুমকি দিয়েছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একইসঙ্গে তিনি রাজ্যের সাঁওতাল পরগনায় বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জমি দখল করার বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেনের “নীরবতা” নিয়েও সেসময় প্রশ্ন তোলেন।

আরবি/এফআই

Link copied!