ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় লেবানন জুড়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৫৯ জনের প্রাণহানি ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৩ হাজার ৪৪৫ জনে। শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বিমান হামলায় গত একদিনে লেবানন জুড়ে আরও ৫৯ জন নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে আরও কয়েক ডজন মানুষ। এছাড়াও ধ্বংসস্তুপের নিচে চাপা পড়ে আছেন অনেকেই।
এদিকে, ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী আজও বৈরুতের দক্ষিণ শহরতলির বেশ কয়েকটি স্থানে বিধ্বংসী বিমান আক্রমণ করেছে।
জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, ‘বিশৃঙ্খলা, দুর্ভোগ, হতাশা, মৃত্যু, ধ্বংস, বাস্তুচ্যুতি` ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডকে অন্যান্য এলাকা থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে। ফলে গাজায় সাহায্য পাঠানো এখন আগের চেয়ে আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।’
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়ে, ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান হামলায় গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে আরও ২৮ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় দাবি করছে, গাজা উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়ির ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১০ হাজারেরও বেশি লোক নিখোঁজ রয়েছেন। মূলত গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব সত্ত্বেও ইসরায়েল অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে তার নৃশংস আক্রমণ অব্যাহত রেখেছে।
জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪৩ হাজার ৭৬৪ জন নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরও এক লাখ ৩ হাজার ৪৯০ জন।
অন্যদিকে, ইসরায়েলে হামাসের হামলায় এক হাজার ১৩৯ জন নিহত হয়েছে। বন্দি রয়েছে ২০০ জনেরও বেশি ইসরায়েলি নাগরিক।
এছাড়া লেবাননে ইসরায়েলি হামলায় এখন পর্যন্ত ৩ হাজার ৪৪৫ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৪ হাজার ৫৯৯ জন।
আপনার মতামত লিখুন :