নারীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে ৪০-৫০ খণ্ড করার অভিযোগ উঠেছে ২৫ বছর বয়সী এক যুবকের বিরুদ্ধে। ভারতের ঝাড়খণ্ডের খুন্তি জেলায় গত ৮ নভেম্বর এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত পেশায় কসাই নরেশ ভেংরাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের খুন্তি জেলার জরিয়াগড় থানা এলাকার বাসিন্দা নরেশ। কর্মসূত্রে তামিলনাড়ুতে থাকতেন। সেখানে একটি মাংসের দোকানে কাজ করতেন। তামিলনাড়ুতে থাকার সময় এক তরুণীর সঙ্গে লিভ ইন সম্পর্কে জড়ান। গত দু’বছর ধরে তারা একসঙ্গেই থাকছিলেন।
সম্প্রতি ঝাড়খণ্ডে নিজের গ্রামের বাড়ি জোরডাগে ফিরে আসেন নরেশ। গ্রামে ফিরে আবার পরিবারের পছন্দের পাত্রীকে বিয়েও করেন। তার লিভ অন সম্পর্কের কথা স্ত্রীর কাছে যেমন গোপন করেছিলেন, তেমনই লিভ ইন সঙ্গীর কাছে বিয়ের কথা জানাতে চাননি নরেশ।
নববিবাহিতা স্ত্রীকে গ্রামের বাড়িতে রেখে আবার কর্মস্থলে ফিরে যান নরেশ। তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে, তামিলনাড়ুতে নরেশ পৌঁছতেই তাকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া শুরু করেন লিভ ইন সঙ্গী। গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য জোরাজুরিও করতে থাকেন ওই তরুণী।
খুন্তির পুলিশ সুপার আমন কুমার জানান, হত্যাকাণ্ডের শিকার ওই নারী তাকে নরেশের বাড়িতে নিয়ে যেতে জোর করেন । সে সময় ওই নারীকে ঝাড়খণ্ডের জারিয়াগড় থানার জরদাগ গ্রামে তার বাড়ির কাছের একটি জঙ্গলে নিয়ে যান নরেশ। সেখানে হত্যা করে লাশ ৪০-৫০ খণ্ড করে ছড়িয়ে দেন। গত ২৪ নভেম্বর এই হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১৫ দিন পর জরদাগ গ্রামের কাছে একটি সড়কে দেহের খণ্ডিত অংশ পাওয়া যায়।
জঙ্গলের কাছেই অভিযুক্ত যুবক নরেশের গ্রাম। ওই দিন সকালে গ্রামবাসীরা দেখেন, একটি কুকুর মুখে করে কাটা হাত নিয়ে যাচ্ছে। এই দৃশ্য দেখে গ্রামে হুলস্থুল পড়ে যায়। তারপরই পুলিশে খবর দেন গ্রামবাসীরা। তদন্তে নেমে পুলিশ ওই জঙ্গল থেকে একটি ব্যাগের ভিতরে দেহাংশ উদ্ধার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অশোক সিং জানান, অভিযুক্ত ব্যক্তি তামিলনাড়ুর কসাইয়ের দোকানে কাজ করতেন। তিনি স্বীকার করেছেন, ওই নারীকে হত্যা করে তার দেহ ৪০-৫০ খণ্ড করে বন্য প্রাণীদের খাওয়ার জন্য রেখে আসেন।
আপনার মতামত লিখুন :