নিম্ন আদালতকে সম্ভল মসজিদের মামলা আপাতত বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। আজ শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ভারতের শীর্ষ আদালত বলেছে, সম্ভল মসজিদের শাহি ইদগাহ কমিটি যতক্ষণ না হাইকোর্টে যাচ্ছে, ততদিন পর্যন্ত ট্রায়াল কোর্টে মামলাটি চালানো যাবে না। এমনকি আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত মসজিদে কোনো সমীক্ষার কাজও করা যাবে না।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
কয়েক দিন আগে ভারতের উত্তরপ্রদেশের সম্ভল মসজিদকে ঘিরে সংঘর্ষে অন্তত ৬ জন নিহত হন। এরপর সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার সম্ভল মসজিদ এলাকায় পুলিশের ড্রোন উড়তে দেখা গেছে। পরিস্থিতি থমথমে থাকলেও কোনো সহিংস ঘটনা ঘটেনি।
আদালতের নির্দেশে গত ২৪ নভেম্বর সম্ভলের জামা মসজিদে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়। সম্ভাব্য উত্তেজনা এড়াতে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কাজ শুরু করেন সমীক্ষাকারীরা। কিন্তু তারপরও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে স্থানীয়রা। এতে ছয়জন নিহত হন।
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর কেলা দেবী মন্দির কমিটির তরফ থেকে চনদৌসির একটি আদালতে মামলা রুজু করা হয়। মামলাকারীদের দাবি, সম্ভলের শাহি জামা মসদিজ আসলে শ্রী হরিনাথ মন্দির, যা সম্রাট বাবরের শাসনকালে ১৫২৯ সালে মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছিল। এই আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট বিচারক আদিত্য সিং ওই দিনই মসজিদের ভিডিয়োগ্রাফি সমীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।
সেই সমীক্ষার কাজ শুরু হলে স্থানীয়দের সঙ্গে সংঘর্ষ হয় এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে।
এই সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আজ শুক্রবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ মসজিদ কমিটির আবেদন শুনে বলেন, হাইকোর্টের অভিমত না শুনে সমীক্ষার প্রতিবেদন প্রকাশ করা যাবে না। তা সিল করা খামে রাখতে হবে। তাঁরা জানান, তিন কর্মদিবসের মধ্যে (আগামী বুধবার) মসজিদ কমিটিকে এলাহাবাদ হাইকোর্টে আবেদন করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :