শপথগ্রহণের পর সরকারি কর্মকর্তাদের ফুল-টাইম অফিস পুনরায় চালু করার এক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোমবার শপথ গ্রহণের পর বেশ কিছু নির্বাহী আদেশে সই করেন তিনি। এসব আদেশের মধ্যে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ বাতিলের সিদ্ধান্তও রয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, হোয়াইট হাউস নির্বাহী আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সরকারের নির্বাহী শাখার সমস্ত বিভাগ এবং সংস্থার প্রধানরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবেন।
নতুন এ আদেশ অনুযায়ী দেশটির সরকারি কর্মীদের পাঁচদিন পূর্ণ সময় নিজ নিজ দপ্তরে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
কোভিড মহামারির সময়ে ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা বাসা থেকে কর্মস্থলে যোগদানে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। এতে কর্মকর্তারা ব্যক্তিগত জীবনেও অনেকখানি সুবিধা ভোগ করতে পারছিলেন।
তবে ট্রাম্পের একান্ত সমর্থকরা ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ পছন্দ করেননি। ট্রাম্পের বিজয়ে ভূমিকা রাখা এবং তার একনিষ্ঠ সমর্থক বিলিয়নিয়ার ইলন মাস্কও এর বিরোধিতা করেন। তাদের দাবি, দ্রুত পূর্ণ সময়ের অফিস ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
এর আগে, ট্রাম্প জন্মসূত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব পাওয়ার অধিকার বাতিল করেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই তিনি এ সম্পর্কিত এক নির্বাহী আদেশে সই করেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধভাবে বা শিক্ষা-পর্যটনসহ সাময়িক ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসে সন্তান জন্ম দিলে ওই শিশু মার্কিন নাগরিকত্ব পাবে না।
এ নির্বাহী আদেশে সই করার সময় ট্রাম্প স্বীকার করেন যে, জন্মসূত্রে নাগরিকত্বের অধিকার সংবিধানে নিশ্চিত করা থাকলেও, তাঁর এই আদেশ আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে। তিনি জানান, জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব একটি হাস্যকর ধারণা এবং তাঁর বিশ্বাস, এই বিধান পরিবর্তন করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী আইনগত যুক্তি রয়েছে।
এর আগে, সোমবার তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন। মার্কিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জন রবার্টস তাঁকে শপথ পাঠান। এর মাধ্যমে এক মেয়াদ বিরতির পর দ্বিতীয়বারের মতো আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলেন ট্রাম্প।
আরবি/এসজে
আপনার মতামত লিখুন :