ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি, ২০২৫

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ঝড়

মো. সায়েম ফারুকী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ২২, ২০২৫, ০৮:৫০ এএম

ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশের ঝড়

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়ে দেড় শতাধিক নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প। এর মধ্যে বাইডেন প্রশাসনের কিছু নির্বাহী আদেশ বাতিল ও প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করার মতো বিষয়ও আছে। 

শপথের দিন গত সোমবার নির্বাহী আদেশগুলো যেভাবে দেওয়া হচ্ছিল, তা একদিকে ছিল চমকে দেওয়ার মতো ও অন্যদিকে আতঙ্কও সৃষ্টি করার মতো। তবে ট্রাম্প তার শপথ গ্রহণের ভাষণে বলেছেন, এসব আদেশ আমেরিকাকে পুনরুদ্ধার করবে।

এর আগে ডোনাল্ড ট্রাম্প তার অভিষেকের ভাষণে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও ঐক্য বজায় রাখায় ভূমিকা নেওয়ার আকাক্সক্ষা প্রকাশ করেন। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকরের কথাও তিনি সংক্ষেপে তুলে ধরেছেন। যা ছিল বিশ্ববাসীকে কড়া বার্তা। 

স্বভাবসুলভভাবেই, আমেরিকার পথে যারা বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাদের হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প। পানামা খালকে ‘পানামার জন্য একটি বোকার মতো উপহার’ বলে উল্লেখ করেছেন ট্রাম্প। তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, আমরা এটি ফিরিয়ে নিচ্ছি।

‘কমান্ডার-ইন-চিফ বল’ নামক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমাদের একমাত্র লক্ষ্য আমেরিকার শত্রুদের পরাজিত করা। গতকাল মঙ্গলবার বিবিসি এ তথ্য জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের অভিষেক অনুষ্ঠানের এক ভাষণে তিনি বলেন, আমরা একটি মজবুত আয়রন ডোম গড়ে তুলব। আমাদের একমাত্র লক্ষ্য আমেরিকার শত্রুদের পরাজিত করা। আমরা পরাজিত হব না, অপমানিত হব না। আমরা শুধু জিতব, জিতব এবং জিতব।

শপথের পর প্রথম ভাষণ দেন তিনি এবং এরপর প্যারিস জলবায়ু চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার আদেশে স্বাক্ষর করেন। পরে বাইডেন আমলের ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেন ট্রাম্প। এ ছাড়া দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা, পানামা খাল ফেরত নেওয়া, বিদেশি পণ্যের আমদানিতে শুল্ক বৃদ্ধির মতো কয়েকটি ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রথম দিনে যেসব নির্বাহী আদেশ দিলেন ট্রাম্প: ট্রাম্প বাইডেন জামানার ৭৮টি নির্বাহী আদেশ বাতিল করার নির্দেশ দেন। এর মধ্যে অন্তত এক ডজন পদক্ষেপ রয়েছে যা জাতিগত সাম্য এবং সমকামী ও ট্রান্সজেন্ডার মানুষের বিরুদ্ধে বৈষম্য রোধে সহায়তা করেছিল। 

অভিবাসনকেন্দ্রিক বেশকিছু আদেশের সঙ্গে ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে বসবাসরত অভিবাসীদের সন্তানদের জন্য স্বয়ংক্রিয় নাগরিকত্ব বাতিল করার পরিকল্পনা করেছেন। এটি আজ (গতকাল) থেকে ৩০ দিনের মধ্যে শুরু হবে। 

ট্রাম্প বলেন, যদি কোনো ব্যক্তির মা যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে উপস্থিত থাকেন এবং বাবা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক বা বৈধ স্থায়ী বাসিন্দা না হন, তাহলে সেই ব্যক্তির জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব বাতিল হবে।

ট্রাম্প একটি আদেশে স্বাক্ষর করেছেন যাতে যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) থেকে বের হয়ে যায়। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের ঠকিয়েছে, সবাই যুক্তরাষ্ট্রকে ঠকায়। এটা আর ঘটবে না। তিনি ডব্লিউএইচওর বিরুদ্ধে কোভিড-১৯ মহামারি এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংকট ভুলভাবে পরিচালনা করার অভিযোগ করেন। 

ট্রাম্প দুটি নাম পরিবর্তনের আদেশ দিয়েছেন যার মধ্যে রয়েছে গালফ অব মেক্সিকো ও আলাস্কার মাউন্ট ডেনালি। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সরকারে সাধারণ বোধ নিয়ে আসছেন এবং আমেরিকার সভ্যতার স্তম্ভগুলো পুনরুজ্জীবিত করছেন। ট্রাম্প গালফ অব মেক্সিকোর নাম পরিবর্তন করে ‘গালফ অব আমেরিকা’ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। 

তিনি চলতি মাসের শুরুতে এক প্রেস কনফারেন্সে এই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এ ছাড়া আলাস্কার মাউন্ট ডেনালির নাম পাল্টে রেখেছেন মাউন্ট ম্যাকিনলি। ম্যাকিনলি ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের ২৫তম প্রেসিডেন্ট। রিপাবলিকান এই নেতা দায়িত্ব পালনের মধ্যেই ১৯০১ সালে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। ডেনালি নামটি ২০১৫ সালে তৎকালীন ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা দিয়েছিলেন আলাস্কার আদিবাসী ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে। 

ট্রাম্প বাইডেন স্বাক্ষরিত ইলেকট্রিক যানবাহনের লক্ষ্যমাত্রাসংক্রান্ত একটি নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন। ওই আদেশের লক্ষ্য ছিল, ২০৩০ সালে বিক্রি হওয়া নতুন গাড়ির অর্ধেক ইলেকট্রিক করা। এ আদেশ বাতিলের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের শিল্প ধ্বংস করবে না। এ ছাড়া বাইডেন প্রশাসনের গত বসন্তে গড়ে তোলা গাড়ির দূষণ নিয়ন্ত্রণের নিয়মগুলো পরিবর্তনের কথাও বলেছেন ট্রাম্প।

অন্যদিকে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশে হাজার হাজার ফেডারেল কর্মচারীকে রাজনৈতিক নিয়োগ হিসেবে পুনঃশ্রেণিবদ্ধ করা হয়েছে, যাতে তাদের চাকরি থেকে ছাঁটাই করা সহজ হয়। এ আদেশের বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, প্রেসিডেন্টের সহকারীরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মকর্তাদের ব্যাপক ছাঁটাইকে ‘প্রশাসনিক’ বা ‘ডিপ স্টেট’ এর বিরুদ্ধে আক্রমণ হিসেবে প্রচার করে আসছেন। 

তবে ট্রাম্প কার্যত ‘স্কেজিউল এফ’ পুনর্বহাল করেছেন, যা তিনি তার প্রথম মেয়াদের শেষ বছরে একটি নির্বাহী আদেশ হিসেবে স্বাক্ষর করেছিলেন। এর মাধ্যমে লক্ষাধিক ফেডারেল কর্মচারীকে পুনঃশ্রেণিবদ্ধ করার চেষ্টা করা হয় (বাইডেন এই আদেশ বাতিল করেছিলেন)।

ট্রাম্প জাতীয় জ্বালানি সংকট ঘোষণা করেছেন। এটি জীবাশ্ম জ্বালানির পক্ষে নেওয়া একাধিক পদক্ষেপের অংশ। এর মধ্যে আলাস্কায় তেল খনন সম্পর্কিত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া এবং গ্যাস রপ্তানির ওপর স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করাও ছিল। 

ট্রাম্প ফেডারেল সরকারি যোগাযোগ, নীতিমালা ও ফর্ম থেকে ‘লিঙ্গ ধারণা নির্দেশিকা’ সরাতে আদেশ দিয়েছেন। এই আদেশে এটিকে অফিসিয়াল নীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে যে, ‘পুরুষ ও নারী ছাড়া অন্য কোনো লিঙ্গ নেই।’ এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য রোধের আইন বাস্তবায়নের সময় এজেন্সিগুলো আর এমন ভান করবে না যে, পুরুষরা নারী হতে পারে এবং নারীরা পুরুষ হতে পারে।

এদিকে ট্রাম্পের আদেশে টিকটকের ওপর ফেডারেল নিষেধাজ্ঞার বাস্তবায়ন অন্তত ৭৫ দিনের জন্য স্থগিত করা করেছে। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি, টিকটকের প্রতি আমার এখন একটু বিশেষ ভালোবাসা রয়েছে, যা আগে ছিল না। ট্রাম্প তার অ্যাটর্নি জেনারেলকে টিকটক বিক্রির জন্য আইন বাস্তবায়ন না করার নির্দেশ দিয়েছেন।

জাতীয় সীমান্ত সংকট ঘোষণা: ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে একটি আদেশে স্বাক্ষর করেছেন, যাতে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তে সংকট বন্ধ করা হবে। এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, আমরা লাখ লাখ অপরাধী বিদেশিদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করব। ক্যাপিটল হিলে হামলাকারীদের ক্ষমা করার আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প। এতে ক্যাপিটল ভবনে হামলায় যুক্ত প্রায় ১,৫০০ জন অপরাধীকে ক্ষমা করেছেন এবং ছয়টি সাজা কমিয়েছেন। 

ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশে ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে বের করে আনার ঘোষণা দেন এবং এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি জাতিসংঘকে একটি চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেন। ২০১৭ সালে ট্রাম্প প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে যান। 

২০২১ সালে দায়িত্ব নেওয়ার পর বাইডেন আবার যোগ দেন। প্যারিস চুক্তি থেকে বের হয়ে আসা, ট্রাম্পের বৃহত্তর প্রচেষ্টার একটি অংশ, যা তিনি জলবায়ু সুরক্ষা এবং নীতি ফিরিয়ে আনার জন্য করছেন। ট্রাম্প বাইডেনের পরিচ্ছন্ন জ্বালানি খাতে উন্নতি করার প্রচেষ্টাকে ‘দ্য গ্রিন নিউ স্ক্যাম’ বলে বর্ণনা করেছেন

যুক্তরাষ্ট্রে ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’ সুবিধা বাতিলের আদেশে স্বাক্ষর করেছেন ট্রাম্প। এই আদেশের ফলে এখন যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সপ্তাহে পাঁচ দিন পূর্ণ সময় দপ্তরে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। 

এদিকে ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন বিশ্বনেতারা। এ ঘটনায় অনেকেই খুশি আবার অনেকে উদ্বিগ্ন। খুশি হওয়া নেতাদের তালিকায় আছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিগেরু ইশিবাসহ অনেকে।

আবার পানামা, মেক্সিকো ও কিউবার নেতারা ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনকে উদ্বেগের সঙ্গে দেখছেন। কারণ অভিষেকের আগে তো বটেই, সোমবার প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর দেওয়া উদ্বোধনী ভাষণে ট্রাম্প ফের বলেছেন, পানামা খালের নিয়ন্ত্রণ পুনরায় নেবে যুক্তরাষ্ট্র; মেক্সিকোর অভিবাসীদের ফেরত পাঠানো হবে এবং যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সন্ত্রাসবাদের মদদ দেওয়ার তালিকায় ফের কিউবার নাম ঢোকানো হবে। 

ট্রাম্পের প্রশংসা করে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, পররাষ্ট্রনীতি শক্তিশালী করে শান্তি প্রতিষ্ঠায় ট্রাম্পের অঙ্গীকার আমেরিকার নেতৃত্বকে বলিষ্ঠ করবে।

 ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধবিরতিতে অবদান রাখায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, আমরা আবার একসঙ্গে কাজ করে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল জোটকে আরও উঁচুতে নিয়ে যাব। 

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ট্রাম্প প্রশাসনের লক্ষ্য সংক্ষিপ্ত যুদ্ধবিরতি নয় বলে আমি মনে করি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, দুদেশই উপকার পাবে এবং বিশ্বের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ নির্মাণ করা হবে।

এদিকে সমৃদ্ধ আমেরিকা গড়ার প্রত্যয়ে নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষরের পরপরই বিভিন্ন দেশে শুরু হয়েছে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ। পানামা দখল আর গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়ার হুমকিতে শঙ্কায় রয়েছেন সেখানকার সাধারণ মানুষ। অভিবাসীদের বিতাড়িত করার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় ক্ষোভে রাস্তায় নেমেছেন মেক্সিকোর সাধারণ মানুষ। 

ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তনে একদিকে ওয়াশিংটন ডিসিসহ যুক্তরাষ্ট্রের আনাচে কানাচে ছিল উল্লাস, অন্যদিকে অভিবাসীদের কপালে ছিল চিন্তার ভাঁজ। কখন চলে যেতে হয় এই দেশ ছেড়ে। নির্বাচিত হওয়ার পরই তার অভিবাসন বিরোধী নীতি নিয়ে সরব অবস্থানে অনেক দেশের সাধারণ মানুষ।

 ট্রাম্প নতুন অভিবাসন নীতিতে স্বাক্ষরের পর মেক্সিকো শহরে মার্কিন দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ করেন সাধারণ মেক্সিকানরা। ট্রাম্পের আদলে পুতুল বানিয়ে সেটি আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেন তারা।

ক্ষমতা গ্রহণের আগেই নিজের ঝলক দেখিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গাজা থেকে ইউক্রেন এবং কানাডা থেকে ইউরোপ সব জায়গায় নিজের আধিপত্য বজায় রেখেছেন তিনি। পাশাপাশি বিশ্বনেতাদের পরিকল্পনাও পাল্টে দিয়েছেন একাই। আগামী ৪ বছরে ট্রাম্প বিশ্বকে কতটুকু বদলে দিতে পারেন এখন তাই দেখার অপেক্ষায় বিশ্ববাসী।
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!