ফিলিস্তিনির পশ্চিম তীরে উগ্র ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের ওপর দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বাতিল করেছেন সদ্য শপথ নেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার একদিন না যেতেই ট্রাম্প প্রশাসনের কাছ থেকে এই সিদ্ধান্ত এলো।
এর আগে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত ও ইয়েশা সেটেলার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বেনি গানজ গত অক্টোবরে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেছিলেন, আমরা আশা করছি, ট্রাম্প জিতলে পশ্চিম তীরে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।
সদ্য বিদায় নেওয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৈশ্বিক সমালোচনার মুখে ফিলিস্তিনিদের ওপর সহিংসতার জন্য অভিযুক্ত বসতি স্থাপনকারী উগ্র ইহুদী নাগরিক ও গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন। পশ্চিম তীরে উগ্র ইসরায়েলিদের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা করেছেন ঘটনায় ইসরায়েলের কিছু পশ্চিমা মিত্রও। এরপরও বাইডেনের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নিলেন ট্রাম্প।
হোয়াইট হাউজের নতুন প্রশাসনের ওয়েবসাইটে ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ১ ফেব্রুয়ারি জারি করা ১৪১৫ নম্বর নির্বাহী আদেশ বাতিল করেছেন ট্রাম্প। এই নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে পশ্চিমতীরে শান্তি, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা ব্যাহত করার জন্য অভিযুক্তদের ওপর আরোপ করা হয়েছিল।
সদ্য বিদায় নেওয়া বাইডেনের প্রশাসন ইসরায়েলকে ব্যাপক সামরিক সহায়তা দিলেও- সমালোচনার মুখে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল। যা ইসরায়েলের অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর প্রয়োগ করা হয়। এর ফলে নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়া ব্যক্তিদের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ অবরুদ্ধ করা হয়। সেই সঙ্গে এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মার্কিন নাগরিকদের আর্থিক লেনদেনেও নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।
যুদ্ধবিরতি চুক্তির পর বিশ্বজুড়েই ব্যাপক আলোচনায় রয়েছে অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। কিন্তু, পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে জায়নবাদীদের আগ্রাসন ও নির্যাতন অব্যাহত রয়েছেই। এই বিষয়টি নিয়ে এখন খুব কমই আলোচনা হচ্ছে। অথচ একের পর এক ফিলিস্তিনি ভূমি গ্রাস করছে ইহদী দখলদাররা।
সূত্র: রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :