মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) থেকে কানাডা ও মেক্সিকো থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২৫% সীমান্ত কর (ট্যারিফ) কার্যকর করবেন।
তবে তিনি আরও জানান, এতে ওই দেশগুলো থেকে আমদানি করা তেল অন্তর্ভুক্ত থাকবে কিনা, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো অবৈধ অভিবাসন, ফেন্টানিল চোরাচালান এবং প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতি মোকাবিলা করা।
তিনি আরও বলেন, চীন থেকেও আমদানি করা পণ্যের ওপর নতুন শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা রয়েছে, যা আগে তিনি ১০% বলেছিলেন। তবে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
ট্রাম্প বলেন, চীন আমাদের দেশে ফেন্টানিল পাঠাচ্ছে, যার ফলে শত শত হাজার মানুষ মারা যাচ্ছে। তাই চীনকেও এর জন্য শুল্ক দিতে হবে, আমরা সেই প্রক্রিয়ায় আছি।
নির্বাচনী প্রচারের সময় তিনি চীনা পণ্যের ওপর ৬০% পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় দফায় দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনই কোনো তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেননি, বরং প্রশাসনকে বিষয়টি পর্যালোচনার নির্দেশ দেন।
২০১৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের চীনা পণ্য আমদানি স্থিতিশীল রয়েছে। অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, ট্রাম্পের প্রথম দফা শাসনে আরোপিত ধারাবাহিক শুল্ক বৃদ্ধির ফলে এমনটা হয়েছে।
নির্বাচনী প্রচারকালে ট্রাম্প চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন। কিন্তু হোয়াইট হাউসে আসার প্রথম দিন তিনি এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেননি। বরং তিনি র প্রশাসনকে বিষয়টি যাচাই–বাছাই ও পর্যালোচনা করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :