ডোনাল্ড ট্রাম্প এবারের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে রয়েছেন সেখানে বসবাসকারী অভিবাসীরা। কারণ নির্বাচনের পূর্বে ট্রাম্প ঘোষণা করেছিলেন— ক্ষমতায় গেলে যুক্তরাষ্ট্রকে অবৈধ অভিবাসীমুক্ত করবেন তিনি। আর গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প শপথ নেওয়ার পর থেকে আতঙ্ক যেন আরও কয়েকগুণ বেড়ে যায় অভিবাসীদের।
এমতাবস্থায় নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর সাংবিধানিক বিধি মেনে শপথ গ্রহণ করে বেশ কয়েকটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন ট্রাম্প। সেসবের মধ্যে ‘আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন জনগণকে সুরক্ষা প্রদান’ নামের একটি আদেশও ছিল। ট্রাম্প সেই আদেশে স্বাক্ষর করার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে অভিযান শুরু হয়েছে। আর এই অভিযানের খবর পাওয়ার পর থেকেই যেন অভিবাসীরা গ্রেপ্তার আতঙ্কে রয়েছেন।
ইতোমধ্যে গত ২৩ জানুয়ারি থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯ দিনে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে ৭ হাজার ২৬০ জন অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির অভিবাসন ও কাস্টমস বিষয়ক আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই)।
গ্রেপ্তারদের মধ্যে ৫ হাজার ৭৬৩ জনকে বন্দিশালায় রাখা হয়েছে। শিগগিরই তাদের নিজ নিজ দেশ বা কিউবার গুয়ান্তানামো কারাগারে পাঠানো হবে। শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে আইসিই।
নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের নিউইয়র্ক সিটি, ইলিনয়েস অঙ্গরাজ্যের শিকাগো এবং ম্যাসাচুসেটস অঙ্গরাজ্যের বোস্টন শহরে অভিযান চালিয়ে এসব নথিবিহীন অভিবাসী গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে অনেকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপ্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি যৌন সহিংসতা, বন্দুক ও মাদক সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগ রয়েছে বলে শনিবার এক্সবার্তায় জানিয়েছে আইসিই।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে বর্তমানে বসবাস করছেন ১ লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি অবৈধ অভিবাসী। তাদের মধ্যে অন্তত ১ লাখকে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্য নিয়েছে ওয়াশিংটন।
সূত্র : নিউইয়র্ক পোস্ট
আপনার মতামত লিখুন :