আগামী সপ্তাহে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে, যা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং কৌশলগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এই বৈঠকটি বিশেষ গুরুত্ব পাচ্ছে কারণ, ট্রাম্প ভারতের পণ্যের ওপর সমান শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন, যা নিয়ে ভারতীয় সরকার যথেষ্ট উদ্বিগ্ন।
মোদির হোয়াইট হাউজ সফর এবং ট্রাম্পের শুল্ক হুমকি
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউজে বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ট্রাম্প। মার্কিন কর্মকর্তারা এই খবর নিশ্চিত করেছেন। এটি এমন একটি সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যখন ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধি করার হুমকি দিয়েছেন, যার ফলে ভারতের জন্য বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ বাড়ছে।
বৈঠকটি বাণিজ্য এবং কৌশলগত অংশীদারিত্বের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সূচনার অংশ হতে যাচ্ছে। যদিও ট্রাম্পের পূর্ববর্তী হুমকির পর ভারতের বাণিজ্য সম্পর্কিত দুশ্চিন্তা রয়েছে, তবুও উভয় দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতার উন্নতি ঘটানোর লক্ষ্যে বৈঠকটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ।
[32948]
অভিবাসন, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং বাণিজ্য সম্পর্ক
এর আগে, ২৭ জানুয়ারি ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে ফোনালাপ হয়, যেখানে তারা অভিবাসন নীতি, নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা করেন। ট্রাম্প ভারতকে আরও মার্কিন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনার ওপর জোর দেন এবং বাণিজ্যিক সম্পর্কের ভারসাম্য বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সম্পর্ক
বর্তমানে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একত্রে চীনের বিরুদ্ধে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ছে। ভারত চায় যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে এবং দক্ষ কর্মীদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে। তবে, ট্রাম্প প্রশাসনের পূর্ববর্তী হুমকির কারণে ভারত মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর জন্য আগ্রহী, যাতে বাণিজ্য সম্পর্ক আরও উন্নত করা যায়।
[32956]
বাণিজ্যিক পরিসংখ্যান
বর্তমানে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সবচেয়ে বড় বাণিজ্যিক সম্পর্ক বিদ্যমান, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১ হাজার ৮০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। ভারত এখনও ৩ হাজার ২০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত বজায় রেখেছে, যা দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতার ইঙ্গিত দেয়।
এই বৈঠকটি দুই দেশের সম্পর্কের ভবিষ্যত পথনির্দেশ করবে এবং বিশ্বব্যাপী কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে একটি নতুন মোড় নিতে পারে।