ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

কঙ্গোতে কয়েক’শ নারীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যা!

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৫, ১০:৩৭ এএম
ছবি: সংগৃহীত

গত সপ্তাহে  কঙ্গোর গোমা শহরে রুয়ান্ডা-সমর্থিত বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে হামলার সময় শত শত নারীকে ধর্ষণের পর আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই খবর জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।

জাতিসংঘের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদ্রোহীদের হামলার সময় গোমার একটি কারাগারে বন্দি নারীদের ওপর নারকীয় অত্যাচার চালানো হয়। পালিয়ে যায় কারাগারে থাকা হাজার হাজার পুরুষ বন্দি।

জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা বাহিনীর উপপ্রধান ভিভিয়ান ভ্যান ডি পেরে জানিয়েছেন, ঘটনার সময় কারাগার থেকে প্রায় চার হাজার পুরুষ বন্দি পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও, নারীদের অংশটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। তিনি বলেন, ‘কারাগারে থাকা শত শত নারীকে ধর্ষণ করা হয়, এরপর তাদের কক্ষগুলোতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে মারা হয়।’

রুয়ান্ডা-সমর্থিত এম২৩ বিদ্রোহীরা গত ২৭ জানুয়ারি গোমার কেন্দ্রস্থলে পৌঁছানোর পরপরই সেখানে কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী উঠতে দেখা যায়।

তবে কারাগারে কী ঘটেছে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়নি। কারণ জাতিসংঘের তদন্তকারী দলকে সেখানে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না এম ২৩ বিদ্রোহীরা। ফলে এই নৃশংসতার মূল পরিকল্পনাকারীদের সঠিক পরিচয়ও এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার দফতর সতর্ক করেছে, গোমায় বিদ্রোহী দলগুলো সংঘাতের অস্ত্র হিসেবে যৌন সহিংসতা চালাচ্ছে। গোমার পরিস্থিতি এতটাই গুরুতর যে, ১০ লাখের বেশি মানুষের শহরটি এখন পুরোপুরি এম২৩ বাহিনীর দখলে রয়েছে। তবে গেল সোমবার হঠাৎ করেই বিদ্রোহীরা একতরফা যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেয়।