ভারতের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের অবস্থান বিশ্বের মাঝে কিছুটা নিঃশব্দ হয়ে পড়েছে। বলা চলে, ভারতও এখন বিশ্বের মধ্যে কোনঠাসা অবস্থায় আছে। প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশও বারবার হাসিনার বিষয়ে কথা বলছে এবং তাদের পক্ষ থেকেও হাসিনাকে ফেরত পাঠানোর জন্য নতুন নতুন দাবি উঠছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের হস্তক্ষেপের অপেক্ষায় আছে সবাই।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেই হাসিনাকে নিয়ে এরকম প্রশ্ন ওঠা নতুন কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। এ পরিস্থিতিতে, বিশেষত ভারতের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে, হাসিনার ভবিষ্যৎ নিয়ে কিছু অজানা আশঙ্কা সৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে, এই পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে যখন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও আন্তর্জাতিক সম্পর্কও অনেকটাই গতানুগতিক নীতি থেকে সরে আসছে।
অতীতে অনেক আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বিভিন্ন দেশ নিজেদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধানের জন্য প্রতিবেশী দেশগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তবে, হাসিনার বর্তমান পরিস্থিতি কী হবে, সেটি এখনই স্পষ্ট নয়।
এই বিষয়ে নেটিজেনদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা যাচ্ছে। কেউ কেউ দাবি করছেন, আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ক জটিল হয়ে উঠতে পারে, আবার কেউ মনে করছেন যে, হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর মতো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হবে না। তবে এ বিষয়ে ভবিষ্যত এখনও অস্বচ্ছ এবং সময়ই বলতে পারবে কী হতে যাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে সামরিক বিমানে করে অন্তত ১০৪ জন ভারতীয়কে দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসন ঠেকাতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার পর, এসব ভারতীয়কে ফেরত পাঠানো হলো। কারণ, বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতও এখন বিশ্বের মধ্যে কোনঠাসা অবস্থায় আছে।
[33269]
পাঞ্জাবের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মূলত গুজরাট, মহারাষ্ট্র ও পাঞ্জাব রাজ্য থেকে যাওয়া অভিবাসীদের বহনকারী সি-১৭ বিমানটি স্থানীয় সময় বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর অমৃতসরে অবতরণ করে। কাগজপত্রবিহীন এসব ভারতীয় অভিবাসীর হাত-পা শিকল দিয়ে বেঁধে বিমানে ওঠানো হয়।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, টেক্সাস থেকে ভারতের পাঞ্জাব পর্যন্ত প্রায় একদিনের সমান ফ্লাইট ছিল। তবে এই পুরো সময়টায় ওই ভারতীয়দের হাত-পা বাঁধা ছিল কি না, সেটি নিশ্চিত নয়।
ট্রাম্প প্রশাসন অভিবাসী পরিবহনের জন্য সামরিক বিমান মোতায়েন শুরু করার পর থেকে এটিই সবচেয়ে দীর্ঘ দূরত্বের ফ্লাইট বলে জানিয়েছেন এক মার্কিন কর্মকর্তা।
ফিরে আসা কয়েকজনের বন্ধু ও পরিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছাতে তাদের অবর্ণনীয় কষ্টের সম্মুখীন হতে হয়েছে। কিন্তু পৌঁছানোর পরপরই তাদের ফেরত পাঠানো হলো।
ফেরত পাঠানোদের মধ্যে একজন আকাশদীপ। তার চাচাতো ভাই সিএনএনকে জানান, আকাশের বাবা নিজেদের দুই-তৃতীয়াংশ জমি বিক্রি করে ছেলেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাঠিয়েছিলেন। তার জন্য প্রায় ৬০ হাজার ডলার খরচ করা হয়। সাত মাস আগে আমেরিকায় গিয়েছিলেন তিনি।