যুক্তরাজ্য সরকার অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের শনাক্ত ও ফেরত পাঠানোর জন্য নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার ব্রিটেনও অবৈধ অভিবাসীদের বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে, এবং বিশেষভাবে ভারতীয় রেস্তোরাঁ, কার ওয়াশের দোকান ও নেল পার্লারগুলিতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে ব্রিটেনের উত্তর ইংল্যান্ডের হামবারসাইড এলাকার একটি ভারতীয় রেস্তোরাঁ থেকে সাতজন অবৈধ অভিবাসী আটক করা হয়।
এছাড়া, জানুয়ারি মাসজুড়ে ৮২৮টি জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৬০৯ জন অবৈধ অভিবাসীকে শনাক্ত করা হয়েছে। এসব ব্যক্তি এখন চাটার্ড ফ্লাইটের মাধ্যমে তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্যমতে, ফেরত পাঠানো ব্যক্তিদের মধ্যে মাদক অপরাধ, চুরি, ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত অপরাধীও রয়েছেন। ব্রিটিশ সরকার বৈধ কাগজপত্র ছাড়া শ্রমিক নিয়োগের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।
বিশেষত, এমন নিয়োগদাতাদের ১০৯০টি নোটিস পাঠানো হয়েছে। এই অপরাধে সংশ্লিষ্ট নিয়োগদাতাদের বিরুদ্ধে প্রতি অবৈধ শ্রমিকের জন্য ৬০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা আরোপ করা হতে পারে।
এডি মন্টগোমারি, হোম অফিসের এনফোর্সমেন্ট, কমপ্লায়েন্স অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের পরিচালক, জানিয়েছেন, যারা আমাদের অভিবাসন আইন লঙ্ঘন করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ব্রিটিশ সরকার অবৈধ অভিবাসীদের ঠেকাতে নতুন সীমান্ত নিরাপত্তা, আশ্রয় ও অভিবাসন বিল উত্থাপন করতে যাচ্ছে।
প্রস্তাবিত আইনে, ব্রিটেনে প্রবেশ করা অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করা হবে এবং তাদের ফোন বাজেয়াপ্ত করার ক্ষমতা দেওয়া হবে। এছাড়া, গ্রেপ্তারের পর ২৮ দিনের মধ্যে জামিনের আবেদন করার সুযোগও থাকবে না।
ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইউভেট কুপার বলেছেন, অভিবাসন আইন অবশ্যই মানতে হবে এবং প্রয়োগ করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে নিয়োগকর্তারা অবৈধ অভিবাসীদের শোষণ করে আসছেন, যা বন্ধ করতে হবে। জানুয়ারিতে ব্রিটিশ সরকারের অভিযান আগের বছরের তুলনায় ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৭৩ শতাংশ বেড়েছে।