শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫, ০৯:০০ এএম

শুক্রাণু দান করে ১৮০ সন্তানের বাবা!

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০২৫, ০৯:০০ এএম

শুক্রাণু দান করে ১৮০ সন্তানের বাবা!

ছবি: ইন্টারনেট

শুক্রাণু দানের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ১৮০ জনেরও অধিক সন্তানের বাবা হওয়ার দাবি করা এক মার্কিন বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিককে সতর্ক করেছেন এক আদালত। যুক্তরাজ্যের কার্ডিফ শহরের পারিবারিক আদালতে রবার্ট চার্লস অ্যালবন নামে এই ব্যক্তিকে অনিয়ন্ত্রিত শুক্রাণু দানের বিপদ সম্পর্কে সচেতন করা হয়।

ব্রিটিশ মিডিয়া বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, উত্তর-পূর্ব ইংল্যান্ডের বাসিন্দা অ্যালবন নিজেকে জো ডোনার পরিচয়ে অনলাইনে শুক্রাণু দানের বিজ্ঞাপন দেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নারীরা তার কাছ থেকে শুক্রাণু নিয়ে সন্তান জন্ম দেন।

শুক্রাণুদাতার দাবি, বর্তমানে চীন থেকে অস্ট্রেলিয়া পর্যন্ত সারা বিশ্বে তার সন্তান রয়েছে। গত মাসে সংবাদমাধ্যম দ্য সানকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, তার ১৮০টি জীবিত সন্তান আছে ও তাদের মধ্যে ৬০ জনের সঙ্গে তার দেখা হয়েছে।

যদিও অ্যালবনের কাছ শুক্রাণু গ্রহণ করে সন্তান জন্ম দেওয়ার পর এক যুগলের জীবন দুর্বিষহ হয়ে ওঠে। তাদের সন্তানের ওপর পিতৃত্বের অধিকার চেয়ে বসেন এই দাতা। শুধু তা-ই নয়, বিষয়টির সুরাহা করতে কার্ডিফ শহরের পারিবারিক আদালতের শরণাপন্ন হন অ্যালবন।
অ্যালবন এই মামলায় যে যুগলের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন, তারা সমকামী দম্পতি। সিরিঞ্জ ইনজেকশনের মাধ্যমে অ্যালবনের শুক্রাণু গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে গর্ভধারণ করেছিলেন তাদের একজন। তবে অ্যালবনের দাবি, গর্ভধারণকারী ওই নারীর সঙ্গে তার গোপনে যৌন সম্পর্ক হয়েছিল। অবশ্য আদালত তার এই দাবি খারিজ করে দিয়েছেন।

কার্ডিফের পারিবারিক আদালতের শুনানিতে বলা হয়, ৫০ বছর বয়সী অ্যালবন শিশুটির কাছে ‘অপরিচিত’। কয়েক সপ্তাহ বয়সে একটি ছবি তোলার জন্য মাত্র ১০ মিনিটের জন্য তাদের দেখা হয়েছিল।

সব সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে বিচারক জোনাথন ফারনেস কেসি রায় দেন, পারিবারিক আদালতের রায় অনুযায়ী, অ্যালবন ওই সন্তানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন না। তবে একটি বার্ষিক কার্ড বা ইমেইল পাঠাতে পারবেন, যা শিশুটিকে একটি নির্দিষ্ট বয়সে দেখানো হবে।

রায়ে বিচারক বলেন, এই শুক্রানুদাতা এমন একজন ব্যক্তি, যিনি নারী ও শিশুদের পণ্য হিসেবে দেখেন এবং বিশ্বব্যাপী সন্তান সংখ্যা বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছেন। অ্যালবন প্রকৃতপক্ষে শিশুটির ভালোর জন্য নয়, বরং নিজের স্বার্থ রক্ষা করতে মামলাটি করেছেন। তিনি যুক্তরাজ্যে অভিবাসন সুবিধা লাভের জন্য মামলাটি করেছেন বলে আদালতের পর্যবেক্ষণ, যদিও অ্যালবন তা অস্বীকার করেন।

যুক্তরাজ্যের আইন অনুযায়ী- একজন দাতা সর্বোচ্চ ১০টি পরিবারের জন্য শুক্রাণু দান করতে পারেন। কিন্তু অ্যালবন নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন দেশে শুক্রাণু দান করছেন, যেখানে কোনো স্বাস্থ্য পরীক্ষা বা আইনগত সুরক্ষা পদ্ধতি মেনে চলা হয়নি। সূত্র: বিবিসি

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!