মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গত ১২ ফেব্রুয়ারি এক ফোনালাপে প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনা করেছেন। ইউক্রেন যুদ্ধ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক বিষয় নিয়ে এই আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে, জানান ট্রাম্প।
ট্রাম্প তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ পোস্টে জানান, তিনি ও পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে এবং প্রাণহানি কমাতে সম্মত হয়েছেন। এ সময় তারা ইউক্রেন, মধ্যপ্রাচ্য, জ্বালানি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ডলারের শক্তি এবং অন্যান্য বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। ট্রাম্প বলেন, তারা উভয়ই একমত হয়েছেন যে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের লাখ লাখ মানুষের মৃত্যুর ঘটনা বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, “আমরা একে অপরের দেশে সফরে যাওয়ার জন্য সম্মত হয়েছি এবং খুব ঘনিষ্ঠভাবে একসাথে কাজ করার ব্যাপারে ঐক্যবদ্ধ।” ট্রাম্প আরও জানান, তারা তাদের নিজ নিজ দেশগুলোর প্রতিনিধিদের অবিলম্বে আলোচনা শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন, এবং এই প্রক্রিয়া ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে শুরু হবে।
তিনি যুক্ত করেন, "আমি মনে করি, এই আলোচনা সফল হবে।" ট্রাম্প বলেন, তিনি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও, সিআইএ পরিচালক জন র্যাটক্লিফ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ওয়াল্টজ এবং বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফকে আলোচনার নেতৃত্ব দিতে নির্দেশ দিয়েছেন।
এটি ট্রাম্পের দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে এসে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান চাওয়ার প্রথম পদক্ষেপ। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক হামলা শুরুর পর থেকে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন। প্রায় তিন বছর ধরে চলা এই যুদ্ধে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের দোনেৎস্ক, লুহানস্ক, খেরসন এবং জাপোরিঝিয়া প্রদেশের আংশিক দখল নিয়েছে।