মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ নতুন রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, যা মার্কিন মিত্র ও প্রতিযোগী উভয় দেশের ওপর প্রভাব ফেলবে। বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি করতে পারে। খবর এনডিটিভির।
ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, আমাদের মিত্ররা অনেক সময় শত্রুর চেয়েও খারাপ, কারণ তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে অন্যায্য সুবিধা নেয়। এই নতুন শুল্ক কাঠামো প্রতিটি বাণিজ্য অংশীদারের ওপর আলাদাভাবে প্রযোজ্য হবে এবং মূল্য সংযোজন করসহ (ভ্যাট) বিভিন্ন অর্থনৈতিক বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হবে।
বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে এই শুল্কনীতি ভারতের মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। বর্তমানে, ভারত যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যে গড়ে ৯.৫% শুল্ক আরোপ করে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের রপ্তানি পণ্যে মাত্র ৩% শুল্ক আরোপ করে।
বিশ্ব অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই নতুন শুল্ক ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে, তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।
ট্রাম্পের এই ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওয়াশিংটনে তার সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। তার সফরের আগে ভারত কিছু শুল্ক ছাড়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যার মধ্যে বিলাসবহুল মোটরসাইকেলের শুল্ক হ্রাস অন্যতম।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের এক চোখের বদলে এক চোখ, এক শুল্কের বদলে এক শুল্ক নীতির লক্ষ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের জন্য ন্যায়সঙ্গত বাজার নিশ্চিত করা এবং বাণিজ্য ঘাটতি কমানো। তবে এই নীতির কারণে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে উত্তেজনা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।