ঢাকা বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

মোদির উপহার পেয়ে বেজায় খুশি ইলনের সন্তানরা

রূপালী ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৫, ০৫:৫১ পিএম

যুক্তরাষ্ট্র সফরে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতোমধ্যে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন তিনি। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এসময় ইলন মাস্কের সন্তানরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে শুভেচ্ছা উপহার দেন মোদি।  

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ওয়াশিংটনের ব্লেয়ার হাউসে সাক্ষাতের সময় ইলন মাস্কের বান্ধবী শিভন জিলিস এবং তাদের তিন সন্তান ছিলেন। মোদি তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন এবং তিনজনকে উপহার দেন।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, মোদি শিশুদের তিনটি বই উপহার দেন। সেসব হলো- নোবেল বিজয়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্য ক্রিসেন্ট মুন, দ্য গ্রেট আর কে নারায়ণ কালেকশন এবং পণ্ডিত বিষ্ণু শর্মার পঞ্চতন্ত্র।

প্রধানমন্ত্রী মোদির এক্স-এ শেয়ার করা সাক্ষাতের ছবিতে মাস্কের সন্তানদের এই বইগুলো পড়তে দেখা গেছে। এ সময় উপহার পেয়ে শিশুরা বেশ উৎফুল্ল ছিল।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আজ নতুন রিসিপ্রোকাল ট্যারিফ বা পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন, যা মার্কিন মিত্র ও প্রতিযোগী উভয় দেশের ওপর প্রভাব ফেলবে। বিশ্লেষকদের মতে, এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক বাণিজ্য উত্তেজনা বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি করতে পারে। খবর এনডিটিভির।

ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, আমাদের মিত্ররা অনেক সময় শত্রুর চেয়েও খারাপ, কারণ তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে অন্যায্য সুবিধা নেয়। এই নতুন শুল্ক কাঠামো প্রতিটি বাণিজ্য অংশীদারের ওপর আলাদাভাবে প্রযোজ্য হবে এবং মূল্য সংযোজন করসহ (ভ্যাট) বিভিন্ন অর্থনৈতিক বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হবে।

বিশ্লেষকরা সতর্ক করেছেন যে এই শুল্কনীতি ভারতের মতো উদীয়মান অর্থনীতির দেশগুলোর জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। বর্তমানে, ভারত যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা পণ্যে গড়ে ৯.৫% শুল্ক আরোপ করে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ভারতের রপ্তানি পণ্যে মাত্র ৩% শুল্ক আরোপ করে।

বিশ্ব অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই নতুন শুল্ক ব্যবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। যদিও ট্রাম্প প্রশাসন এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে, তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের ব্যয়বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।