শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম

‘হাসিনার পালানো’ নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৫, ০৬:০৫ পিএম

‘হাসিনার পালানো’ নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন

শেখ হাসিনা

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পালানো ও ভারতের আশ্রয় নেওয়ার বিষয়টি নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন করা হয়েছে। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে সমালোচনা।

প্রশ্নটি ছিল: ‘ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্রের কোন রাষ্ট্রপ্রধান ২০২৪ সালে রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য ভারতে আসেন?’ এই প্রশ্নটি ‘ভারতের বৈশ্বিকায়িত পৃথিবীতে বিদেশ নীতি’ বিষয়ের অন্তর্গত ছিল। প্রশ্নটির ভাষায় কিছু ভুল চিহ্নিত করার পর শিক্ষকদের একাংশ এবং বিশেষজ্ঞরা বিতর্ক শুরু করেন, তবে আরেকটি অংশ মনে করেন, প্রশ্নটির উদ্দেশ্য ছিল ছাত্রদের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা পরীক্ষা করা এবং তা সফলভাবে পূর্ণ হয়েছে।

এ ব্যাপারে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এবং রাজনৈতিক বিজ্ঞান বিভাগের প্রবীণ অধ্যাপক সাব্যসাচী বাসু রায় চৌধুরী বলেন, এই প্রশ্নে দুটি বড় ভুল রয়েছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান হচ্ছেন মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন, শেখ হাসিনা সরকারের প্রধান ছিলেন। আবার, ভারতের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়নি। এ ধরনের ভুল ছাত্রদের বিভ্রান্ত করতে পারে এবং এটি গ্রহণযোগ্য নয়।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রদীপ্ত মুখার্জীও একই মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ভারত এখনও শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়নি। এটি একটি ভুল তথ্য, তবে এটা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন, এটা শুধু একটি ভুল ছিল না, বরং ছাত্রদের প্রতিক্রিয়া দেখতে তথ্যটি ইচ্ছাকৃতভাবে প্রদান করা হয়েছিল কিনা।

অন্যদিকে, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সমীর কুমার দাস বিষয়টিকে একটি সাধারণ জ্ঞানভিত্তিক প্রশ্ন হিসেবে দেখেন, যার উত্তর জানার জন্য বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তন সম্পর্কে গভীর জ্ঞান প্রয়োজন ছিল না। তবে তিনি ‍‍`রাজনৈতিক আশ্রয়‍‍` শব্দটির ব্যবহার নিয়ে কিছু প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, যদি ‍‍`রাজনৈতিক আশ্রয়‍‍` শব্দটি ব্যবহৃত হয়, তবে তা আমাদের দেশের কূটনৈতিক পরিভাষার সাথে মানানসই কি না, তা পুনর্বিবেচনা করা উচিত।

এই বিতর্কের পর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানিয়েছেন।

সূত্র- টাইমস অব ইন্ডিয়া

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!