ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৫, ১০:৪৮ এএম

ইউক্রেনে সেনা পাঠাতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য

ছবি: সংগৃহীত

ইউক্রেনের শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দেশটিতে ব্রিটিশ সেনা মোতায়েন করতে প্রস্তুত যুক্তরাজ্য। সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টার্মার এ কথা জানিয়েছেন।

প্যারিসে ইউরোপীয় নেতাদের এক জরুরি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার আগে ডেইলি টেলিগ্রাফে লেখা এক নিবন্ধে তিনি বলেন, যদি আমরা ভবিষ্যতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আরও আগ্রাসন প্রতিহত করতে চাই, তবে ইউক্রেনে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি।

স্টার্মার আরও বলেন, আমরা ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রস্তুত এবং প্রয়োজনে সেখানে আমাদের সেনা মোতায়েন করার জন্যও প্রস্তুত। এটি আমি হালকাভাবে বলছি না। ব্রিটিশ সেনাদের ঝুঁকিতে পাঠানোর সিদ্ধান্তের দায়িত্ব আমি গভীরভাবে অনুভব করি।

তিনি জানান, ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা মানে ইউরোপ এবং যুক্তরাজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

তবে সাবেক ব্রিটিশ সেনাপ্রধান লর্ড ড্যানাট বলেন, যুক্তরাজ্যের সেনাবাহিনী এতটাই দুর্বল যে তারা ইউক্রেনে শান্তিরক্ষা মিশন পরিচালনা করতে সক্ষম নয়। তার মতে, ইউক্রেনে শান্তি বজায় রাখার জন্য প্রায় এক লাখ সেনা প্রয়োজন, যার মধ্যে যুক্তরাজ্যকে কমপক্ষে ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করতে হবে, যা বর্তমান পরিস্থিতিতে সম্ভব নয়।

যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী এই মাসের শেষের দিকে যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। স্টার্মার জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা গ্যারান্টি ছাড়া ইউক্রেনে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি সম্ভব নয়, কারণ কেবল যুক্তরাষ্ট্রই পুতিনের আগ্রাসন প্রতিরোধ করতে সক্ষম।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আগামী কয়েক দিনের মধ্যে সৌদি আরবে রুশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে। তবে ইউক্রেন সরকার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার আলোচনায় তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

ট্রাম্প সম্প্রতি রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন এবং বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ আলোচনা শুরু করা হবে।

ট্রাম্প আরও জানিয়েছেন, তিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে তার পরিকল্পনার বিষয়ে অবহিত করেছেন এবং ইউরোপীয় দেশগুলো যাতে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কিনতে পারে, সে ব্যবস্থা করবেন।

স্টার্মার সতর্ক করে বলেছেন, আমরা এমন পরিস্থিতি চাই না, যেখানে আফগানিস্তানের মতো যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি তালেবানের সঙ্গে আলোচনা করে কাবুল সরকারকে উপেক্ষা করেছিল। আমি নিশ্চিত যে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পও এটি এড়াতে চাইবেন।

আরবি/এফআই

Link copied!