২০১৬ সাল থেকে কূটনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েনের পর ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান ও সৌদি আরব দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়েছে।
সৌদি আরব, ইরান, ইরাক ও ওমানের আয়োজনে দুই বছরের আলোচনার পর বেইজিংয়ে দুই দেশের জাতীয় নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের মধ্যে বেশ কিছু দিনের বৈঠক ও আলোচনার পর গত বছরের ১০ মার্চ ঘোষণা করেছে, তেহরান এবং রিয়াদ তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্মত হয়েছে। ওমানের রাজধানী মাস্কাট থেকে এএফপি আজ এই খবর জানায়।
২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক এক নতুন যুগে প্রবেশ করেছে এবং ৭ বছরে সম্পর্কের বিভিন্ন টানাপড়েনের পর দুই দেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের পদক্ষেপ নেয়।
[34724]
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য তেহরান এবং রিয়াদের দৃঢ় সংকল্পের একটি লক্ষণ হল উভয় পক্ষের মধ্যে কূটনৈতিক সফর এবং ইরান ও সৌদি আরবের রাজনৈতিক কর্মকর্তারা রিয়াদ ও তেহরানে সফর করেন এবং সেইসঙ্গে আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে সাক্ষাত এবং আলোচনা করেন।
এই প্রসঙ্গে ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘নাজার রিসার্চ ফাউন্ডেশন’ তেহরান এবং রিয়াদের মধ্যে সম্পর্কের উন্নয়ন এই অঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি বলে মনে করে এবং বিশ্বাস করে যে ইরান এবং সৌদি আরবের মধ্যে সম্পর্ক এত জটিল যে এটি কেবল একটি স্বল্পমেয়াদী কৌশল হতে পারে না।
ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ‘ইরনা’র উদ্ধৃতি দিয়ে ভারতীয় থিঙ্ক ট্যাঙ্ক ‘নাজার রিসার্চ ফাউন্ডেশন’র মধ্যপ্রাচ্য বিভাগের পরিচালক আব্দুল আজিজ আল-কাশিয়ান একটি প্রতিবেদনে লিখেছেন, ২০২৫ সালের শুরু থেকে মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চল অসংখ্য চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। গাজা যুদ্ধের প্রভাব সমগ্র অঞ্চল জুড়ে অনুভূত হয়েছে এবং ইসরাইলি সামরিক হামলার ফলে লেবানন ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।