দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধবিরতি চলাকালীন একদফায় সব বন্দিকে মুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে হামাস। ইসরায়েল এবং ফিলিস্থিনের মধ্যে চলমান সংঘাতের স্থায়ী সমাধান এবং ইসরায়েলি বাহিনীর অপসারণের লক্ষ্য নিয়ে এ প্রস্তাব দিয়েছে হামাস।
বুধবার হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাশেম দ্বিতীয় দফায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির রূপরেখা দিয়েছেন যার ভেতর বন্দিমুক্তির কথাও রয়েছে।
এদিকে ফিলিস্তিনি দলটি ইতোমধ্যে নিশ্চিত করেছে তারা বাকি ছয় ইসরায়েলি বন্দিকে মুক্তি দেবে। কাশেম এই সংখ্যা দ্বিগুণ করেছেন। এর আগে তিনজনকে মুক্তি দেওয়ার কথা ছিল। তিনি বলেছেন, বন্দিদের সংখ্যা দ্বিগুণ করার কারণ হলো- এতে সমঝোতাকারীরা বিষয়টি নিয়ে আমরা যে উদ্বিগ্ন তা বুঝতে পারবেন।
ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিডিয়ন সা`র বলেছেন, দ্বিতীয় দফার চুক্তির লক্ষ্য নিয়ে আলোচনা চলছে। চলতি সপ্তাহেই এ বিষয়ে দুই পক্ষের চুক্তি হবে।
এর আগে এই বন্দি বিনিময়ের বিষয়ে হামাসের সামরিক শাখা আল কাসেম ব্রিগেড এবং ফিলিস্তিনি কারাবন্দিদের সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা প্যালেস্টাইনিয়ান প্রিজনার্স মিডিয়া অফিস এক বিবৃতিতে নিশ্চিত করেছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মুক্তির অপেক্ষায় থাকা বন্দিদের মধ্যে ৩৩৩ জন গাজার বাসিন্দা। তাদের অধিকাংশকেই ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযান শুরুর পর গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। বাকি ৩৬ জন যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজাপ্রাপ্ত।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর, হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে ঢুকে নজিরবিহীন হামলা চালায়, যার ফলে ১২০০ জন নিহত এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল গাজায় অভিযান শুরু করে। টানা ১৫ মাসের ওই অভিযানে গাজায় ৪৮ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত এবং ১ লাখ ১১ হাজারের বেশি মানুষ আহত হয়। গাজা শহরটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :