ইংল্যান্ডে হোম অফিসের অনুমতি চাওয়ায় অন্তঃসত্ত্বা নারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছিল একটি প্রতিষ্ঠান। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভুক্তভোগী নারী। এ ঘটনায় ওই নারীকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির কর্মসংস্থান সংক্রান্ত ট্রাইব্যুনাল।
একজন বিনিয়োগ পরামর্শদাতা হিসাবে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন বার্মিংহামের পলা মিলুস্কা। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর সকালের দিকে হওয়া শারীরিক সমস্যার (মর্নিং সিকনেস) কারণে তিনি বাড়ি থেকে কাজ করার আবেদন জানিয়েছিলেন।
২০২২ সালেরত ডিসেম্বর মাসে পলার আবেদনের ভিত্তিতে তার সিনিয়র আম্মার কবির মেসেজে জানান, অফিসে থেকে কাজ করতে পারবে এমন একজন কর্মীকেই তাদের প্রয়োজন। পলাকে যে সংস্থা বরখাস্ত করছে, তা-ও ওই বার্তায় অস্পষ্ট ছিল বলে আদালত মনে করেছে। তাকে অন্যায্যভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে ট্রাইব্যুনাল।
২০২২ সালের অক্টোবরে পলা গর্ভবতী হন।
নভেম্বরেই তিনি অসুস্থতা অনুভব করতে থাকেন। চিকিৎসকের পরামর্শের ভিত্তিতে বাড়ি থেকে কাজ করার অনুরোধ করেন তিনি। তার ম্যানেজারকে একটি লিখিত অনুরোধও জানান। কিন্তু তাকে অফিসে যোগ দিতে বলে কর্তৃপক্ষ। অফিসে আসার পরও তার আবেদন মঞ্জুর করেনি প্রতিষ্ঠানটি।
[35074]
পলা এরপর আইনি সাহায্য নেন। আদালতকে পলা জানান, তিনি তার ম্যানেজারকে জানিয়েছিলেন, তিনি এতটাই অসুস্থ যে কাজ করতে পারছেন না। এমনকি বাড়ি থেকেও কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
জবাবে কবির তাকে ব্যঙ্গ করে একটি বার্তা পাঠান। মিলুস্কা তার অনুপস্থিতির জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন। ২০২২ সালের ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার সঙ্গে প্রতিষ্ঠান কোনো যোগাযোগই করেনি বলে আদালতে জানান পলা। সেই মাস থেকে পলার বেতনও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি আদালতে এই মামলাটির নিষ্পত্তি হয়। আদালত পলার পক্ষেই রায় দিয়েছে। কবিরের প্রতিষ্ঠানকে এক কোটি টাকার ক্ষতিপূরণের রায় দিয়েছেন বিচারক গ্যারি স্মার্ট।